হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইরাক সফর শেষে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তার সফরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করা এবং সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের অগ্রগতি নিশ্চিত করা। লারিজানি বলেন, আঞ্চলিক ইস্যুগুলো সবসময়ই ইরানের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত ১৩ জুন শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্র–ইসরায়েলের চাপিয়ে দেওয়া ১২ দিনের যুদ্ধে শত্রুপক্ষ উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করলেও ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের প্রবল হামলায় তারা কার্যত অসহায় হয়ে পড়ে।
লারিজানির ভাষায়, শত্রুর ধারণা ছিল ইসলামী দেশগুলো মতপার্থক্যের কারণে ইরানকে সমর্থন করবে না। কিন্তু বাস্তবে, এসব দেশের সরকার ও জনগণ উভয়ই ইরানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল।
ইরাক সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিরাপত্তা ইস্যুর পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। তেহরান ও বাগদাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত নতুন নিরাপত্তা চুক্তি শুধু পারস্পরিক সহযোগিতাকেই শক্তিশালী করবে না, বরং সামগ্রিকভাবে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা সুদৃঢ় করতেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
আপনার কমেন্ট