হাওজা নিউজ এজেন্সি: রায় আল-ইয়ুম পত্রিকা জানায়, নেতানিয়াহুর বক্তব্যের পর জর্ডান সরকার বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুবরাজ হুসেইন বিন আবদুল্লাহ ঘোষণা করেন, জর্ডানি তরুণরা আবারও সামরিক সেবায় যুক্ত হবে, যাতে তারা দেশের প্রতিরক্ষায় প্রস্তুত থাকতে পারে। এটি ইসরাইল ও তার মিত্রদের প্রতি স্পষ্ট বার্তা যে, জর্ডান হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না; বরং প্রয়োজনে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে গণ-সেনাদল (People’s Army) গঠনও রয়েছে।
যুবরাজের বক্তব্যে ছিল স্পষ্ট বার্তা: “যুবকদের দেশের প্রতিরক্ষায় সক্ষম হতে হবে।” ৩০ বছর পর আবারও সামরিক সেবা চালু হওয়া অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে।
তিনি উত্তর জর্ডানের ইরবেদ শহরে এ ঘোষণা দেন এবং বলেন, এটি জাতীয় প্রতিরক্ষার স্বার্থে নেওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ সতর্ক সংকেতের মতো এসেছে এবং সরাসরি নেতানিয়াহুর ‘বৃহৎ ইসরাইল’ প্রকল্প সম্পর্কিত বক্তব্যের সঙ্গে যুক্ত।
১৯৯৪ সালে ইসরাইলের সঙ্গে ওয়াদি আরাবা শান্তি চুক্তির পর জর্ডানে বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা বাতিল করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে সেটি পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত ইঙ্গিত করছে যে, জর্ডান এক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এটি ইসরাইল ও তার পশ্চিমা মিত্রদের উদ্দেশে কঠোর বার্তা যে, দেশটি সামরিকভাবে আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত। শুধু সেনাসেবা নয়, জনগণের অংশগ্রহণে প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন, সামরিক প্রশিক্ষণ ও আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহও পরিকল্পনায় রয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এই সিদ্ধান্তকে “ঐতিহাসিক” বলে অভিহিত করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক মন্তব্যই জর্ডানের এই প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার পেছনে মূল কারণ।
সরকারি সূত্রগুলোও ইঙ্গিত দিয়েছে, ভবিষ্যতে আরও সামরিক ও কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
আপনার কমেন্ট