হাওজা নিউজ এজেন্সি: অনলাইনে আয়োজিত রাজনৈতিক সচেতনতামূলক সভায় “ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ” শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে সর্দার জাওয়ানি বলেন, “পশ্চিমা বিশ্ব ইসলামী বিপ্লবের পর থেকেই ইরানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সংঘাতও সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ।”
তিনি উল্লেখ করেন, একমাত্র ইরানই বৈশ্বিক ঔদ্ধত্য ও আধিপত্যবাদী শক্তির মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে, যা পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
আইআরজিসি’র রাজনৈতিক উপপ্রধান বলেন, “ইরানের ভূমিতে ধর্ম ও ইসলামের পতাকা এবং একই সঙ্গে জ্ঞান ও বিজ্ঞানের পতাকা কখনোই অবনমন হবে না। আধিপত্যবাদী শক্তিগুলো এই বাস্তবতাকেই তাদের নীতির প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে।”
জাওয়ানি স্মরণ করিয়ে দেন, বহু দশক ধরে ষড়যন্ত্র চালানোর পর অবশেষে ১২ দিনের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ শুরু করা হয়েছিল, এই ভেবে যে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ইরানকে দখল করা সম্ভব হবে। কিন্তু বাস্তবে সেই আশা একেবারেই পূরণ হয়নি।
তার ভাষায়, “অতীতে তারা সরাসরি যুদ্ধে নামেনি, কিন্তু এবার সরাসরি হস্তক্ষেপ করেও পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। এখনো শত্রুরা ইরানের জনগণ, নেতৃত্ব, সশস্ত্র বাহিনী ও যুবসমাজকে সঠিকভাবে বুঝতে সক্ষম হয়নি।”
জেনারেল জাওয়ানি বলেন, শত্রুর ধারণা ছিল দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনে জনগণ রাস্তায় নেমে আসবে। কিন্তু জনগণের অন্তর্দৃষ্টি ও স্বাধীনচেতা মনোভাব তাদের সব হিসাব উল্টে দিয়েছে। যুদ্ধের শুরুতেই যখন দেখা গেল জনগণ ও সরকার ঐক্যবদ্ধ, তখনই শত্রুরা আমেরিকার মতো দেশের সহায়তা নিয়ে যুদ্ধ বন্ধ করার চেষ্টা করে।
তিনি স্পষ্টভাবে সতর্ক করে বলেন, “যদি শত্রু আবারও হঠকারিতা করে এবং কোনো ভুল পদক্ষেপ নেয়, তবে ইরানের পূর্ব অভিজ্ঞতা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জায়োনিস্ট শাসনের দুর্বল কাঠামোয় ভয়াবহ আঘাত হানা হবে।”
শেষে তিনি জোর দিয়ে বলেন, সাম্প্রতিক সংঘাত জায়োনিস্ট শাসনের পতন ও বিলপ্তিকে আরও দ্রুততর করবে।
আপনার কমেন্ট