মঙ্গলবার ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ১৯:০৯
এসেক্সের মসজিদে ভাঙচুর: যুক্তরাজ্যে বাড়ছে ইসলামোফোবিয়া

গত সপ্তাহে ইংল্যান্ডের এসেক্সের বাসিলডনে একটি মসজিদে ভাঙচুরের ঘটনায় ব্যাপক নিন্দা জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটিতে ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিয়ার আশঙ্কা আরও জোরালোভাবে সামনে এসেছে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে সাউথ এসেক্স ইসলামিক সেন্টারে ভাঙচুরের পর স্থানীয় মুসল্লিরা গভীরভাবে হতবাক হয়ে পড়েন।

বাসিলডন কাউন্সিলের নেতা গ্যাভিন ক্যালাহান এ হামলাকে “নিন্দনীয় কাপুরুষতা” হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “এটি ছিল সুস্পষ্টভাবে লক্ষ্যভিত্তিক, ভীতিপ্রদর্শনমূলক এবং অপরাধমূলক কাজ।”

ব্রিটিশ মুসলিম কাউন্সিলের প্রধান ওয়াজিদ আখতার সতর্ক করেন যে সেন্ট জর্জ পতাকার অপব্যবহার ইতিহাসে একাধিকবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে টার্গেট করার হাতিয়ার হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঘৃণার বিস্তারে সমাজের নীরবতা বড় ভূমিকা রেখেছে।

কাউন্সিলের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরা মুসল্লিরা আসার আগে দেয়ালের গ্রাফিতি মুছে ফেলেন। তবে ভয় ও উদ্বেগ এখনও সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরাজ করছে। এলাকার কয়েকজন বিশপও খ্রিস্টীয় প্রতীকের অপব্যবহারকে “লজ্জাজনক ও ভ্রান্ত” বলে আখ্যা দেন।

অ্যান্টি-ফার-রাইট সংগঠন হোপ নট হেট জানায়, এ ধরনের প্রচারণার নেতৃত্ব দিচ্ছে অ্যান্ড্রু কারিয়েন—যিনি একসময় ইসলামবিরোধী ইংলিশ ডিফেন্স লিগের সদস্য ছিলেন এবং বর্তমানে চরম-ডানপন্থী রাজনৈতিক দল ব্রিটেন ফার্স্ট-এর সঙ্গে যুক্ত।

জাতিগত সমতা বিষয়ক থিংক-ট্যাঙ্ক রানিমিড ট্রাস্টের প্রধান শাবনা বেগম বলেন, এসব ঘটনা মূলত “ইসলামোফোবিয়ার উদ্বেগজনক তীব্রতা”র অংশ। রাজনৈতিক ও গণমাধ্যমের দীর্ঘদিনের বর্ণনায় মুসলিমদের বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে।

তার ভাষায়, “আমাদের রাস্তায় যে সহিংসতা আর মসজিদে ভাঙচুর দেখা যাচ্ছে, তা মূলত এক দীর্ঘ রাজনৈতিক ও গণমাধ্যমীয় প্রচারণার ফল। আমাদের বারবার বোঝানো হয়েছে যে অর্থনৈতিক সমস্যার জন্য দায়ী মুসলিম, অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীরা।”

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha