সোমবার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ০৮:৩৫
ইসলামী উম্মাহর ঐক্য বিনষ্ট করে এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে

ইসলামী ঐক্য রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ইরানের সেমনান প্রদেশের ইমামে জুমা ও ওয়ালীয়ে ফকিহর প্রতিনিধি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুর্তজা মুতিঈ বলেছেন, দেশের ভেতরে ঐক্য সংরক্ষণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে এবং প্রতিরোধ ফ্রন্টকে শক্তিশালী করে। তিনি বলেন, “আমরা সবাই মহান ইসলামী উম্মাহর অংশ এবং আমাদের অভিন্ন শত্রু হলো বিশ্বস্তরীয় ঔদ্ধত্যবাদ ও আন্তর্জাতিক জায়োনিজম। তাই আমাদের বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আচরণ করতে হবে।”

হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইসলামি ঐক্য সপ্তাহ ও ১৭ই শাহরিভারের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এই বক্তব্য রাখেন। সভায় প্রাদেশিক উপ-গভর্নর, ইসলামি প্রচারণা সমন্বয় পরিষদের প্রধানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অনলাইনে যুক্ত হয়ে হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মালেক-মোহাম্মাদি “জাতীয় ভালোবাসা প্রেরণা—হযরত মুহাম্মাদ (সা.)” শিরোনামে বন্দীমুক্তি উদ্যোগ নিয়ে বক্তৃতা দেন।

ইমাম জুমা মুতিঈ নবী করিম (সা.) ও ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “জনগণের মধ্যে ঐক্য, জনগণ ও নেতৃত্বের মধ্যে ঐক্য, এবং সমগ্র ইসলামী উম্মাহর বিভিন্ন অংশের মধ্যে ঐক্য—এসবই ঐক্যের বাস্তব রূপ, যা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।”

তিনি ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর একটি বাণী উল্লেখ করে বলেন, “যে ব্যক্তি মুসলিম উম্মাহ থেকে সামান্য দূরত্বও তৈরি করে, সে তার ঈমান থেকে ততটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “আল্লাহর হাত সর্বদা জামাতের সঙ্গে থাকে। সুতরাং এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যা শত্রুর ষড়যন্ত্রকে সহায়তা করে।”

এ সময় তিনি সেমনান প্রদেশে বন্দীমুক্তি কার্যক্রমে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ও দানশীলদের প্রশংসা করেন এবং বিত্তবানদের আরও সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি জানান, আসন্ন ৩ হাজার শহীদের কংগ্রেসকে সফল করতে প্রশাসন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে।

গাজা ও লেবাননের জনগণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, “জায়োনিস্ট শাসনের অপরাধ ইতিহাসের সব হত্যাকারীকেও হার মানিয়েছে। তাই আমাদের দায়িত্ব হল গাজা ও ফিলিস্তিনের মাজলুম মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানো।”

পরিশেষে তিনি বলেন, “ইসলামি ঐক্য সপ্তাহ উপলক্ষে শহর ও গ্রামাঞ্চলে যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। নবী করিম (সা.) ও ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর জন্মবার্ষিকী উদযাপন আমাদের গভীর ভালোবাসা ও আনুগত্যের প্রতিফলন।”

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha