হাওজা নিউজ এজেন্সি: মারিয়াম জেবলী বলেন, ইসলামের ইতিহাসে নবী করিম (সা.)-এর জন্ম তারিখ নিয়ে দুটি মত রয়েছে—সুন্নি মতে ১২ রবিউল আউয়াল, শিয়া মতে ১৭ রবিউল আউয়াল। ইমাম খোমেনী (রহ.) প্রজ্ঞার সঙ্গে ১২–১৭ রবিউল আউয়ালকে সপ্তাহে ঐক্য ঘোষণা করেন, যাতে জন্ম তারিখের পার্থক্য বিভেদের কারণ না হয়ে বরং মুসলিম ঐক্যের উৎস হিসেবে কাজ করে।
জেবলী আরও বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর বিদায়ী খুতবায় মুসলমানদের বিভাজন থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দিয়েছেন। ঐক্য সপ্তাহ সেই শিক্ষারই স্মারক। বর্তমান সময়ে উপনিবেশবাদী শক্তি মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে চায়। ঐক্য সপ্তাহ এই ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিয়ে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বৃদ্ধি করে।
তিনি কুরআনের আয়াত
إِنَّ هذِهِ أُمَّتُکُمْ أُمَّةً واحِدَةً وَأَنا رَبُّکُمْ فَاعْبُدُونِ [আম্বিয়া/৯[
উদ্ধৃত করে বলেন, ঐক্য সপ্তাহ মূলত এই আয়াতের আধুনিক প্রতিফলন। মুসলমানরা কুরআন, রাসূল (সা.) এবং কিবলার মতো অভিন্ন ভিত্তির ওপর নির্ভর করলে শত্রুরা বিভাজনের সুযোগ নিতে পারবে না।
জেবলী বলেন, টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যৌথ অনুষ্ঠান, সম্মেলন, মিলনমেলা ও সামাজিক কর্মকাণ্ড শিয়া-সুন্নি তরুণদের মধ্যে ঐক্য বৃদ্ধি করে। যুবসমাজ যদি ফিলিস্তিন, নব্য উপনিবেশবাদবিরোধী সংগ্রাম ও সামাজিক ন্যায়বিচারের মতো অভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে বিভাজনমূলক এজেন্ডা নস্যাৎ হবে।
তিনি আরও বলেন, তরুণরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও, পডকাস্ট ও কনটেন্ট তৈরি করে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দিতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং সামাজিক উদ্যোগে শিয়া-সুন্নি যৌথ অংশগ্রহণও ইসলামী পরিচয়কে শক্তিশালী করবে।
আপনার কমেন্ট