হাওজা নিউজ এজেন্সি: ফালাহ ফিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) সর্বদা মাজহাবি বিভেদ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং মদিনায় মুহাজির, আনসার, ইহুদি এমনকি মুনাফিকদের নিয়ে গঠিত সমাজকে এমনভাবে পরিচালনা করেছেন যাতে ঐক্যের নীতি অক্ষুণ্ন থাকে।
তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর দয়া, সহনশীলতা ও ক্ষমার গুণাবলীকে ঐক্য সৃষ্টির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তাঁর নৈতিকতা এমনকি বিরোধীদেরও আকৃষ্ট করত।
তিনি যোগ করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) সর্বদা “উম্মাহ ওয়াহিদাহ” (একক উম্মত) ধারণাকে গুরুত্ব দিতেন। কুরআনের সূরা আল-আম্বিয়া (৯২) এ বলা হয়েছে:
إِنَّ هَذِهِ أُمَّتُكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً
যা প্রমাণ করে ঐক্যই ইসলামী সমাজের মৌলিক নীতি।
ফালাহ ফিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) শূরা ও পরামর্শকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন এবং ভিন্নমতের সঙ্গেও আলোচনা করতেন। তিনি আহলে কিতাবের সাথে সাধারণ মিলের জায়গাগুলোকে গুরুত্ব দিতেন, যেমন কুরআনের আহ্বান:
تعالوا إلی کلمة سواء بیننا وبینکم
(“এসো, আমাদের ও তোমাদের মধ্যে যে কথাটি অভিন্ন, তাতে একমত হই।”)
তালবে ইলম ও আলেমদের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা কেবল জ্ঞানচর্চার বাহক নন, বরং ঐক্যের চিন্তাধারার রক্ষকও। তাদের উচিত বৈজ্ঞানিক ও যুক্তিনির্ভরভাবে পবিত্র ঐক্যের ধারণা ব্যাখ্যা করা এবং ফিকহ, কালাম ও ইতিহাসের আলোকে এটিকে স্লোগান থেকে গঠনমূলক গফতাগুতে রূপান্তর করা।
তিনি বলেন, তালিবে ইলমদের উচিত “জিহাদে তাবইন”-এ (সত্য প্রচার) সক্রিয় থাকা, পশ্চিমা গণমাধ্যমের বিভাজনমূলক প্রচারণার জবাব দেওয়া এবং সংকটকালীন সময়ে জনগণের পাশে থেকে ঐক্যের বাস্তব প্রতীক হওয়া।
শেষে তিনি সতর্ক করে বলেন, মাজহাবি বিতর্ক না বাড়িয়ে বৈজ্ঞানিক সমালোচনার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। তিনি রাহবারে ইনকিলাবের উক্তি উদ্ধৃত করে বলেন, ঐক্য মানে সমালোচনা বন্ধ করা নয়; বরং গঠনমূলক সমালোচনা এমন হতে হবে যা ঐক্যকে শক্তিশালী করে।
আপনার কমেন্ট