হাওযা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মহান নেতা ইমাম খোমেইনি (রহ.) মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি জোরদার করার লক্ষ্যে ১২ থেকে ১৭ রবিউল আউয়াল পর্যন্ত সময়কে "ঐক্যের সপ্তাহ" ঘোষণা করেন। যাতে সব মাযহাবের মুসলিমরা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র জন্মবার্ষিকীর উপলক্ষে প্রকাশ্যে উম্মাহর ঐক্য প্রদর্শন করে পারস্পরিক বিদ্বেষ ও বিভাজন দূর করতে পারে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) সমগ্র মানবজাতির জন্য রহমত হিসেবে এসেছিলেন, সুতরাং তাঁর উম্মাহ হয়ে আমাদেরও উচিত রহমত ও ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি হওয়া, বিদ্বেষ ও বিভেদের প্রতীক নয়।
ঐক্যের সপ্তাহ প্রকৃতপক্ষে একটি উচ্চ ধারণা, জীবনধারা এবং বাস্তবিক পদক্ষেপ; যা আমাদেরকে বিভক্ত পরিচয় থেকে সরিয়ে একক উম্মাহ হিসেবে দাঁড় করায়:
“নিশ্চয়ই এ উম্মাহ তোমাদের একক উম্মাহ, আর আমি তোমাদের প্রতিপালক; অতএব, শুধু আমাকেই ইবাদত করো।”
(সুরা আল-আম্বিয়া: ৯২)
আজকের মুসলিম বিশ্বে অস্থিরতা, অশান্তি, সাম্প্রদায়িকতা, ফিতনা-ফাসাদ, পরাধীনতা, জুলুম, অসহায়ত্ব, শোষণ এবং পশ্চাদপদতা সর্বত্র বিরাজ করছে। অথচ আমরা যদি এক উম্মাহ হয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতাম, তাহলে এ পরিস্থিতি কখনো তৈরি হতো না। এ সব গুরুতর সমস্যার একমাত্র সমাধান হলো ইমাম খোমেইনি (রহ.) প্রদত্ত “ইসলামী ঐক্য”—যা হলো পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে উম্মাহর অভিন্ন স্বার্থে একত্রিত হওয়া।
“তোমরা সবাই আল্লাহর দড়িকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরো এবং বিভক্ত হয়ো না।”
(সুরা আলে ইমরান: ১০৩)
শিয়া, সুন্নি, দেওবন্দি, বেরলভি, আহলে হাদিস—সবই মুসলিম উম্মাহর ভেতর বৈচিত্র্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ বৈচিত্র্যই আমাদের মাঝে কঠিন প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসলামী ঐক্যের প্রধান দাবি হলো—আমরা মতভেদ থাকা সত্ত্বেও একে অপরকে মুসলিম ও ভাই হিসেবে স্বীকৃতি দিই।
“বিশ্বাসীগণ তো পরস্পর ভাই ভাই; সুতরাং তোমরা তোমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে শান্তি স্থাপন করো এবং আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমাদের উপর দয়া করা হয়।”
(সুরা হুজুরাত: ১০)
আপনার কমেন্ট