হওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা স্মরণ করি বিশ্বমানবতার মুক্তিদূত, মহানবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা.)-কে। তাঁর জীবন ও আদর্শ শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য এক অনন্য পথনির্দেশক। পৃথিবীতে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব, মানবকল্যাণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার যে মহৎ শিক্ষা তিনি দিয়ে গেছেন, তা যুগে যুগে সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।
মহানবী (সা.)-এর চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল সহনশীলতা, ক্ষমাশীলতা, বিনয় ও ন্যায়পরায়ণতা। তিনি বলেছেন “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি, যে অন্যের উপকারে আসে।” তাঁর এ বাণী মানবকল্যাণের চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা। অন্যদিকে মক্কার নির্যাতনকারীদের প্রতিও তিনি ক্ষমার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে প্রমাণ করেছেন, ঘৃণা ও প্রতিহিংসা নয়, বরং ভালোবাসা ও দয়া দিয়েই প্রকৃত পরিবর্তন আনা যায়।
আজকের পৃথিবী জুড়ে যুদ্ধ, সহিংসতা, বিভেদ ও বৈষম্যের যে অমানবিক চিত্র আমরা দেখছি, তা দূর করার একমাত্র উপায় হলো নবীজির আদর্শের আলোকে মানবসমাজকে গড়ে তোলা। তাঁর শিক্ষা আমাদের শিখিয়েছে-কোনো জাতি, ধর্ম বা বর্ণভেদ নয়; বরং সবাই একে অপরের ভাই, আর অন্যের অধিকার রক্ষা করা প্রতিটি মানুষের কর্তব্য।
নবীর জীবন থেকে আমরা শিখি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা : ধনী-গরিব, শক্তিশালী-দুর্বল সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা।
মানবপ্রেম ও ভ্রাতৃত্ব গড়ে তোলা : পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহমর্মিতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে সমাজে শান্তি আনা।
ক্ষমাশীলতা ও সহনশীলতা : বিদ্বেষ ও সংঘাত দূর করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা।
শিক্ষা ও জ্ঞানের প্রসার : অজ্ঞতা ও কুসংস্কার দূর করে আলোকিত সমাজ নির্মাণ।
আমরা বিশ্বাস করি, যদি ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রিক প্রতিটি স্তরে মহানবী (সা.)-এর আদর্শ বাস্তবায়িত হয়, তবে পৃথিবীতে শান্তি, নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার ও সত্যিকারের মানবকল্যাণ প্রতিষ্ঠিত হবে।
এই পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর প্রেক্ষাপটে আমাদের অঙ্গীকার হোক-নবীর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে দুনিয়াকে কল্যাণ ও শান্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
আপনার কমেন্ট