হাওজা নিউজ এজেন্সি: শনিবার রাতে মধ্যপ্রাচ্যে সফরের আগে সাংবাদিকদের রুবিও বলেন, “এই ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটেছে। স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, আমরা এটি পছন্দ করিনি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এতে সন্তুষ্ট ছিলেন না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এই হামলা আমাদের ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের প্রকৃতি পরিবর্তন করবে না। তবে এর প্রভাব—বিশেষ করে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনায়—আমরা গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা করব।”
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রুবিও ইসরায়েল সফরে কাতারে চালানো অভিযানের লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করবেন এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি ওয়াশিংটনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করবেন।
কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ওয়াশিংটন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, ইসরায়েল যদি নিজ স্বার্থে কাতারের দোহা কিংবা অন্য কোনো দেশে হামলাও চালায়, তাতে যুক্তরাষ্ট্র বাঁধা তো দূরের কথা, সরাসরি আপত্তি করবে না এবং তাদের নীরব সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের এ হামলা কেবল লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়নি, বরং কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এর কূটনৈতিক সম্পর্ককেও চাপে ফেলেছে। ট্রাম্প প্রশাসনও কাতারি নেতাদের আশ্বস্ত করেছে যে, এমন ঘটনা পুনরায় ঘটতে দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলি বাহিনী দোহায় হামলা চালায়। লক্ষ্য ছিল হামাসের রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা। এ হামলা প্রায় দুই বছরের যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থাপনের প্রচেষ্টাকে বিপন্ন করেছে এবং আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক নিন্দার জন্ম দিয়েছে।
আপনার কমেন্ট