হাওজা নিউজ এজেন্সি: একটি সাধারণ উদাহরণ: একটি ১০ বছরের ছেলে কোনো কাজ করলে এবং বাবা-মা তাকে জিজ্ঞেস করে—“তুমি এটা কেন করেছ?”—শিশুটি কেঁদে ওঠে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুর মনের মধ্যে এই প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গে “আমাকে শাস্তি দেওয়া হবে” বা “আমাকে দোষারোপ করা হবে” ধারণা জাগে। কখনো কখনো শিশুটি জানে, তার জন্য নীতিগত শাসন বা তুচ্ছ শাস্তি হতে পারে। ফলে শিশুর জন্য এটি মানসিক চাপ এবং অস্বস্তির কারণ হয়।
আচরণের সমাধান ও পরামর্শ
নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে চলুন
শিশুর কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাইলে সরাসরি রাগ বা চিৎকার দেখাবেন না। প্রথমে শিশুর ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরুন, তারপর ভুল বা সীমাবদ্ধতা ব্যাখ্যা করুন।
উদাহরণ: যদি শিশু নল খোলা রেখেছে, বলুন—
“দারুণ, তুমি নিজে ভাবেছ এই কাজ করতে হবে। কিন্তু দেখ, এখন পানি নলটি অনেক খোলা আছে এবং পানি অপচয়ের সময় আমাদের বেশি সাবধান হওয়া উচিত।” প্রথমে প্রশংসা ও সমর্থন, পরে ভুল বোঝানো—এটাই সঠিক পদ্ধতি।
দায়িত্ব ও নির্দেশনা স্পষ্টভাবে দিন
শিশুর বয়স অনুযায়ী দায়িত্ব ভাগ করে দিন এবং কাজের ধাপ পরিষ্কারভাবে বোঝান।
উদাহরণ: ধরুন, অতিথি এসেছে এবং শিশু ফলের থালা পরিবেশন করতে চায়। মা আগে থেকেই পরিবেশনের ক্রম ঠিক করেছেন (প্রথম চা, তারপর ফল)। যদি সেই মুহূর্তে শিশুকে কড়া স্বরে সমালোচনা করা হয়, শিশুটি হতাশ হবে।
সঠিক উপায়: “এখন অতিথিরা এসেছে। আমাদের পরিবেশনের ক্রম: প্রথম চা, তারপর ফলের থালা। তুমি দয়া করে পরে ফল পরিবেশন করো।”
এইভাবে নির্দেশ দিলে শিশু নিরাপদ ও আত্মবিশ্বাসী থাকে, কাঁদার বা রাগ করার প্রবণতা কমে।
▫️শিশুর ভুলের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব
শিশুর কাজের সমালোচনা করুন, তার ব্যক্তিত্ব নয়। শাস্তি বা চিৎকার শিশুকে বিপর্যস্ত করে, তাই এড়িয়ে চলাই উত্তম।
শিশুর মানসিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাবা-মায়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
প্রশ্ন করার সময় ধৈর্য ধরে শুনুন।
শিশুর ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরুন।
বয়স অনুযায়ী দায়িত্ব ও নির্দেশনা দিন।
এভাবে শিশুরা মানসিকভাবে দৃঢ়, আত্মবিশ্বাসী ও দায়িত্বশীল হয়ে বড় হয়। বাবা-মায়ের সঠিক দিকনির্দেশনা ও সহমর্মিতা শিশুদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।
আপনার কমেন্ট