হাওজা নিউজ এজেন্সি: বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পুতিন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যকার একটি শীর্ষ বৈঠক স্থগিত করলেও মস্কো সংলাপ চালিয়ে যেতে আগ্রহী। তবে তিনি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পায় এবং তা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করে, তাহলে রাশিয়ার জবাব হবে “অত্যন্ত শক্তিশালী—সম্ভবত ভয়াবহ।”
পুতিন বলেন, “সংলাপ সর্বদা বিরোধ বা যুদ্ধের চেয়ে উত্তম। আমরা সবসময় আলোচনা অব্যাহত রাখার পক্ষে। তবে যদি রাশিয়ার ওপর আঘাত হানা হয়, তাহলে জবাব হবে কঠিন ও সর্বাত্মক। এ বিষয়টি ভালোভাবে ভেবে দেখা উচিত।”
তার এই মন্তব্যটি আসে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল–এর এক প্রতিবেদনের পর, যেখানে বলা হয় যে ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনকে সরবরাহ করা কিছু দীর্ঘ-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ওপর আরোপিত সীমাবদ্ধতা তুলে নিয়েছে। একই সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, দেশটির নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্র এখন ৩,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
রাশিয়ার দুটি প্রধান তেল কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, “এটি একটি অমিত্র পদক্ষেপ, যার কিছু প্রভাব পড়বে, তবে তা আমাদের অর্থনীতিতে বড় কোনো ক্ষতি করবে না। রাশিয়ার জ্বালানি খাত এখনো দৃঢ় ও আত্মবিশ্বাসী অবস্থানে আছে।”
তিনি আরও বলেন, “এটি রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা। কিন্তু কোনো মর্যাদাবান দেশ কিংবা জনগণ কখনো চাপের মুখে সিদ্ধান্ত নেয় না।”
পুতিন সতর্ক করে বলেন, বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারের ভারসাম্য নষ্ট হলে তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের জন্যও সমস্যার কারণ হবে—বিশেষ করে তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে।
আপনার কমেন্ট