হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজা উপত্যকায় এই সংস্থার প্রকল্প সমন্বয়কারী উইলেমিন ক্যারোলাইন এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য মানবিক সাহায্যকে "যুদ্ধের অস্ত্র" হিসেবে ব্যবহার করছে।
উইলেমিন ক্যারোলাইন জোর দিয়ে বলেছেন যে, গাজা উপত্যকায় পাঠানো মানবিক সহায়তাকে কোনোভাবেই রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্ত করা উচিত নয়, কারণ এটি মানবিক নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
তিনি আরও বলেন, গাজায় মানবিক পরিস্থিতির কোনো দৃশ্যমান উন্নতি হয়নি।
ক্যারোলাইন জানান, গাজায় এখনো পানি ও আশ্রয়ের ঘাটতি ভয়াবহ, শীত আসন্ন এবং লক্ষাধিক বাস্তুচ্যুত মানুষ তাঁবুতে বাস করছে।
ডাক্তার্স উইদাউট বর্ডার্স-এর এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আরও বলেন,
সংস্থার দলগুলো এখনো পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু ও গর্ভবতী নারীদের মধ্যে মারাত্মক অপুষ্টি নথিবদ্ধ করছে। খাদ্য সরবরাহ কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও পুষ্টিহীনতার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক।
তিনি গাজার চলমান মানবিক সংকটের প্রসঙ্গে বলেন,
“পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ ও ধ্বংসাত্মক।”
উল্লেখ্য, ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মুখপাত্র হাযেম কাসিম আগেই সতর্ক করেছিলেন যে,
দখলদার ইসরায়েলি সরকারের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তা পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলতে পারে।
হাযেম কাসিম “আল-আরবি আল-জাদিদ”-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন,
ইসরায়েলি সরকার আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি ধারাবাহিকভাবে লঙ্ঘন করছে, যার ফলে এখন পর্যন্ত ৯০ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।
আপনার কমেন্ট