হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিহাসে এমন এক ব্যক্তি ছিলেন-মুওয়াস্সার ইবনে আব্দুল আজিজ, যিনি হযরত ইমাম বাকের (আ.)-এর সাহচর্য লাভের সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন। তাঁর ও ইমামের মধ্যে বহু তাৎপর্যপূর্ণ কথোপকথন বর্ণিত হয়েছে, যার মধ্যে একটি ঘটনা গভীর শিক্ষা বহন করে।
একদিন মুওয়াস্সার ইমাম বাকের (আ.)-এর দরবারে উপস্থিত হন। ইমাম (আ.) তাঁকে লক্ষ্য করে বললেন, মুওয়াস্সার! তোমার মৃত্যুর সময় একাধিকবার এসে গিয়েছিল, কিন্তু প্রত্যেকবারই যখন মৃত্যুর ফেরেশতা তোমার প্রাণ কবজ করতে উদ্যত হয়েছিল, আল্লাহ তা’আলা নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন তোমার মৃত্যু বিলম্বিত করা হয়।
এ কথা শুনে বিস্মিত মুওয়াস্সার জিজ্ঞাসা করলেন, হে ইমাম! আমি জানি না কেন এমন হয়েছে। মানুষ তো মৃত্যুকে ভয় পায়, তাই এ বিষয়ে জানতেও সাহস পাইনি।
ইমাম (আ.) উত্তরে বললেন, তুমি জানো কেন তোমার মৃত্যু বিলম্বিত হয়েছে? এর দুটি কারণ আছে।
প্রথম কারণ হিসেবে ইমাম (আ.) বললেন, তুমি সিলা-রহম করো-অর্থাৎ আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সদাচার করো ও সম্পর্ক রক্ষা করো।
এরপর দ্বিতীয় কারণ ব্যাখ্যা করে ইমাম (আ.) বললেন, তোমার আরেকটি উত্তম গুণ হলো, তুমি মানুষের সমস্যা সমাধান করো, অন্যের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করো। তুমি ‘গিরা গোশা’-অর্থাৎ মানুষের জীবনের গিরা খোলার মানুষ।
শিক্ষণীয় বার্তা: ইমাম বাকের (আ.)-এর এই বাণী আমাদের শেখায় যে, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা ও অন্যের কষ্ট দূর করা এমন দুটি কাজ, যা আল্লাহর নিকট এত প্রিয় যে তা মানুষের জীবনের সময়ও বাড়িয়ে দিতে পারে।
সিলা-রহম ও মানবসেবা-দীর্ঘায়ু ও বরকতের রহস্য।
আপনার কমেন্ট