হাওজা নিউজ এজেন্সি: এক ব্যক্তি বলেন, “কয়েক দিনের ভ্রমণ শেষে আমি শেইখ হাসান আলী ইস্ফাহানির (রহ.) কাছে পৌঁছালাম। অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হৃদয়ে আরজ করলাম—‘হুজুর, আমার স্ত্রী মৃত্যুপথযাত্রী। দয়া করে দোয়া করুন।’
শেইখ আমাকে বললেন— ‘তোমার পকেটে একটি ডুমুর আছে, সেটি আমাকে দাও।’
আমি অবাক হয়ে বললাম—
‘আমার পকেটে ডুমুর কোথায়?’
তিনি দৃঢ়ভাবে বললেন—
‘আমি বলছি—তোমার পকেটেই আছে।’
পকেটে হাত ঢুকিয়ে দেখি—নিশ্চয়ই একটি ছোট শুকনো ডুমুর রয়ে গেছে! কয়েক মাস আগে এক বন্ধু কয়েকটি ডুমুর দিয়েছিল; সব খেয়েছিলাম, শুধু একটি পকেটে রয়ে গিয়েছিল।
আমি ফলটি শেইখকে দিলাম। শেইখ ডুমুরটি হাতে নিয়ে সূরা ফাতিহা তেলাওয়াত করলেন এবং তার দিকে হালকা ফুঁ দিয়ে বললেন,‘এটি তোমার স্ত্রীকে খাওয়াবে—সে সুস্থ হয়ে যাবে।’
আমি বললাম—‘হুজুর, আমার গ্রামে পৌঁছাতে কয়েকদিন লাগবে; তার আগেই তো সে মারা যাবে!’
শেইখ বিস্মিত হয়ে বললেন, ‘তাহলে তুমি সময়মতো পৌঁছাতে পারবে না?’
আমি বললাম, ‘না, হুজুর।’
তিনি বললেন, ‘তাহলে তুমি নিজেই এই ফলটি খেয়ে নাও।’
আমি অবাক হয়ে বললাম, ‘হুজুর, অসুস্থ তো আমার স্ত্রী আমি কেন খাব?’
শেইখ উত্তর দিলেন, ‘তুমি খেলে তোমার স্ত্রী আরোগ্য লাভ করবে।’
আমি তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী ডুমুরটি খেয়ে নিলাম। তবে পথজুড়ে মন ভীষণ ভারী হয়ে ছিল। মনে হচ্ছিল “হয়তো হুজুর সরাসরি আমাকে বলতে চাননি যে আমার স্ত্রী আর বাঁচবে না।”
নিজ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দরজা খুলতেই দেখি আমার স্ত্রী উঠোনে পুকুরধারে বসে কাপড় ধুচ্ছেন!
আমি বিস্ময়ে জিজ্ঞেস করলাম—‘তুমি কীভাবে সুস্থ হলে?’
তিনি বললেন, “আমি মৃত্যুর ফেরেশতা পর্যন্ত দেখেছিলাম। মনে হয়েছিল সব শেষ। কিন্তু দুই দিন আগে হঠাৎ করে মনে হলো আল্লাহ আমাকে নতুন জীবন দান করেছেন!”
আমি সুনির্দিষ্ট সময় জানতে চাইলে তিনি যে সময়টি বললেন, ঠিক সেই মুহূর্তেই আমি শেইখের নির্দেশে ডুমুরটি খেয়েছিলাম!
ডুমুরটি আমি খেয়েছিলাম কিন্তু সুস্থতা ফিরে পেয়েছিলেন আমার স্ত্রী।
সূত্র: “নিশান আজ বী-নিশানহা” শেইখ হাসনা আলী ইস্ফাহানি (রহ.)–এর জীবনকথা
আপনার কমেন্ট