হাওজা নিউজ এজেন্সি: যে শিশু ভালোবাসার পুষ্টিতে বেড়ে ওঠে, সে নিরাপত্তা, শান্তি ও আত্মসম্মান অনুভব করে। এই কারণেই ইসলামী মনোবিজ্ঞান ও ধর্মীয় শিক্ষায়, অভিভাবকদের প্রতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শগুলোর একটি হলো— শিশুর সঙ্গে এমনভাবে কথা বলা, যাতে সে ভালোবাসা ও মূল্যবোধ অনুভব করে।
“আমি তোমাকে ভালোবাসি”— এক অলৌকিক বাক্য
সবচেয়ে প্রভাবশালী ও আশ্চর্যজনক বাক্যগুলোর একটি হলো — “আমি তোমাকে ভালোবাসি।” এই বাক্যটি শুধু আবেগের প্রকাশ নয়; এটি সন্তানের হৃদয়ে এক ধরনের নিরাপত্তা, শান্তি ও আত্মবিশ্বাসের জন্ম দেয়। এটি সন্তানের ব্যথা নিরাময়ের ওষুধ, এবং একই সঙ্গে ভালো আচরণের প্রেরণা।
যখন সন্তান জানে— তার মা-বাবা তাকে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসেন — তখন সে ভুল করলে ভয় পায় না, বরং শেখে; সে মিথ্যা বলে না, বরং সত্য বলতে সাহস পায়।
সন্তানের ভালোবাসাকে শর্তে বাঁধবেন না
শিশুরা তাদের পিতা-মাতাকে নিষ্পাপ ভালোবাসা দিয়ে ভালোবাসে। তারা নিরাপত্তা খোঁজে সেই হৃদয়ে, যেখানে নিঃস্বার্থ স্নেহ আছে। তাই অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে — এই ভালোবাসাকে কখনও শর্তসাপেক্ষ করে তুলবেন না।
সন্তান যেন কখনও মনে না করে যে, “যতক্ষণ আমি ভালো আচরণ করছি, ততক্ষণই মা-বাবা আমাকে ভালোবাসেন।”
সন্তানের ভালোবাসা তার অস্তিত্বের অংশ; তাকে এই ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করা মানে তার আত্মাকে আহত করা।
যে বাক্যটি কখনও বলবেন না
“আমি আর তোমাকে ভালোবাসি না।” এই একটি বাক্য, একটি শিশুর হৃদয়ে অজস্র ভয় ও অবিশ্বাস বপন করে।
সে ভাবতে শুরু করে — “ভালোবাসা কি তাহলে হারিয়ে যেতে পারে?” এই ভয় তার আত্মসম্মানকে ক্ষয় করে এবং সম্পর্কের প্রতি বিশ্বাস নষ্ট করে দেয়।
শেষকথা
সন্তান লালনের অলৌকিক রহস্য লুকিয়ে আছে ভালোবাসা, ধৈর্য ও সংলাপে। ভালোবাসা শিশুর মনকে গঠন করে, ধৈর্য তার আচরণকে পরিশুদ্ধ করে, আর স্নেহপূর্ণ সংলাপ তাকে মানবিক করে তোলে।
তাই প্রতিদিন সন্তানের কানে ফিসফিসিয়ে বলুন — “আমি তোমাকে ভালোবাসি।” এই তিনটি শব্দই তার জন্য সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ।
সূত্র: ইসলামি পরামর্শ কেন্দ্র “সামাহ”
আপনার কমেন্ট