মঙ্গলবার ১৮ নভেম্বর ২০২৫ - ১১:৪৪
হৃদয়ের বিশ্বাস ছাড়া প্রকৃত কুরআনী শিক্ষা সম্ভব নয়

কুরআন শিক্ষার প্রাণশক্তি কেবল পদ্ধতি বা তথ্য নয়। প্রকৃত শিক্ষা তখনই সফল হয়, যখন শিক্ষক নিজে কুরআনের প্রেমে উন্মুখ এবং হৃদয়ে বিশ্বাসের দীপ জ্বালিয়ে রাখেন। শিক্ষকের এই বিশ্বাসই শিক্ষার্থীর অন্তরে কুরআনের প্রতি ভালোবাসা ও অনুরাগ সৃষ্টি করে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: হুজ্জতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন সাইয়্যেদ মোস্তফা হোসাইনী বলেছেন, “হৃদয়ের বিশ্বাস ছাড়া কুরআনী শিক্ষা ও চরিত্রগঠন কখনো সম্ভব নয়। যে শিক্ষক নিজে কুরআনের আমলকারী নয়, সে শিক্ষার্থীর হৃদয়ে কুরআনের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারবে না।”

ইরানের জাঞ্জান প্রদেশের ওলিয়ে ফাকীহর প্রতিনিধি হিসেবে তিনি আরও বলেন, কেবল উপস্থিতি বা সংখ্যা পূরণ করলেই কাজ শেষ হয় না। শিক্ষার্থীর অন্তরে কুরআনের প্রতি আগ্রহ জন্মাতে হলে শিক্ষককে নিজে আগে এগিয়ে চলতে হবে। “যে নিজে দানশীল নয়, সে অন্যকে দান করতে পারবে না।”

প্রচার প্রয়োজন, কিন্তু যথেষ্ট নয়
শিক্ষকের হৃদয়ের বিশ্বাস এবং কুরআনের জীবন্ত শক্তির প্রতি আস্থা শিক্ষার মূল চাবিকাঠি। কুরআন মানুষের চিন্তা, আচরণ ও জীবন পরিবর্তনের শক্তি রাখে। তাই প্রকৃত কুরআনী শিক্ষা হতে হবে কেবল কুরআনিক জীবনধারা ও আদর্শ অনুসারে।

কুরআন সমাজের সমস্যা সমাধানেও প্রাসঙ্গিক
হুজ্জাতুল ইসলাম হোসাইনী বলেন, “যে কুরআন আমাদের বিপ্লব ও শহীদদের রণাঙ্গনে পাঠিয়েছে—সেই কুরআন আজও সমাজের জটিল সমস্যার সমাধান দিতে পারে।”

কুরআনভিত্তিক শিক্ষা ও কর্মকাণ্ড কেবল বাস্তবিকভাবে কুরআন অনুসারী শিক্ষক ও মুরব্বির মাধ্যমে সফল হয়।

প্রকৃত শিক্ষক হোন আদর্শ
তিনি উপসংহারে বলেন, “ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে প্রয়োজন শিক্ষক ও প্রশিক্ষক যারা কুরআনের প্রেমিক এবং নিজের আমলে আদর্শ। হৃদয়ের বিশ্বাস ও বাস্তব আমল শিক্ষার্থীর অন্তরে কুরআনের প্রকৃত ভালোবাসা সৃষ্টি করে।”

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha