হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইরানের বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও মারজায়ে তাকলীদ আয়াতুল্লাহ আব্দুল্লাহ জাওয়াদি আমুলি (দা.বা.) তাঁর নৈতিক পাঠে ‘সিরাতে ঈমান’-এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, দুনিয়ায় যে ‘সিরাতুল মুস্তাকিম’ তথা সহজ-সরল, সত্যপথে চলতে চায়, সে কি আগুনের উপর দিয়ে হাঁটে না? হাঁটে— এই পথের নিচেই আগুন। এ পথ অতিক্রম করতে হলে নফসের কামনা ও শয়তানের প্রলোভনকে পদদলিত করতে হয়।
রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর বাণী: حُفَّتِ اَلنَّارُ بِالشَّهَوَاتِ —“শাহওয়াত ও কামনার চারপাশ আগুনে ঘেরা।”
অতএব, ‘সিরাতুল মুস্তাকিম’ তথা সহজ-সরল পথ আর আগুন—দুটি ভিন্ন দিক নয়; বরং পথটাই আগুন দিয়ে পরিবেষ্টিত। সেই পথই ‘সিরাতুল মুস্তাকীম’—যেখানে সরে গেলেই পতন, আর পতন মানেই আগুন।
যদি কারও সঙ্গে ধর্মের বন্ধন পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাহলে সে আর এই পথে চলতে সক্ষম হয় না। তবে সামান্যতম সম্পর্ক— (একটি ক্ষুদ্র নূরের রেখাও)—যদি রয়ে যায়, তবে মানুষ ফিরে আসতে পারে, উঠে দাঁড়াতে পারে।
সুতরাং, এই পথের দু’পাশে কোনো নিরাপদ রাস্তা নেই; একই পথ, তার দু’পাশে আগুন— এটাই সত্য। আল্লাহর হুকুম ত্যাগ করাই পতন, আর সেই পতনই আগুনে দগ্ধ হওয়ার শুরু।
হারাম খাওয়া বা হারামে লিপ্ত হওয়া মানে ‘সিরাতুল মুস্তাকিম’ তথা সরল পথ থেকে পড়ে যাওয়া, আর সরল পথ থেকে পড়ে যাওয়া মানেই আগুনে পতন। দুনিয়ায় এর ব্যথা টের পাওয়া যায় না— কিন্তু আখিরাতে তা প্রকট হয়ে উঠবে।
আজ যে ব্যক্তি হারামে জড়িয়ে আছে, সে বাস্তবেই আগুন স্পর্শ করছে— শুধু দুনিয়ার পর্দা তাকে সেই অনুভূতি থেকে আড়াল করে রেখেছে।
উৎস: তাফসির সূরা ফাতিহা, পাঠ–৩৭
আপনার কমেন্ট