হাওজা নিউজ এজেন্সি: আজকের জুমার খুতবায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমরা প্রত্যাশা করি, রাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সত্যিকার অর্থেই জনগণের সেবক হয়ে উঠবেন এবং জনগণের সমস্যাগুলো সমাধানে দ্বিগুণ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা প্রদর্শন করবেন।”
গতরাতের টেলিভিশন বার্তায় রাহবারের বক্তৃতার উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি, বাসিজ বাহিনীর মর্যাদা এবং বিশ্বব্যাপী পশ্চিমা শক্তি ও জায়নিস্টদের নৃশংসতার বিষয়ে রাহবার যে বাস্তবতা তুলে ধরেছেন, তা ছিল অত্যন্ত আলোকপ্রদ ও পথনির্দেশক। এ বক্তব্য ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রপরিচালনা ও জাতীয় দায়িত্ববোধের একটি সুস্পষ্ট মানচিত্র।”
শায়খ মামোস্তা রোস্তামি বলেন, “গত দুই বছরে জায়নিস্ট শাসন বিপুল পরিমাণ রক্তপাত ঘটিয়েছে এবং কার্যত মুসলিম বিশ্বে এক বৃহৎ গণহত্যা সংঘটিত করেছে। এই পরিস্থিতি মুসলিম উম্মাহর প্রকৃত, বাস্তব ও কার্যকর ঐক্য প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তাকে আরও জোরালো করেছে।”
পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর দ্বিমুখী নীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “একদিকে তারা মানবাধিকার রক্ষার দাবিদার সেজে দাঁড়ায়, অন্যদিকে ইসরায়েলকে মুসলমানদের গণহত্যায় উৎসাহিত ও সজ্জিত করে। এটি নিছক প্রতারণা ও ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছু নয়।”
দেশটির স্বেচ্ছাসেবী আধাসামরিক সংগঠন বাসিজের ভূমিকার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, “যুদ্ধ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাসিজ সর্বদাই দেশের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তারা অসংখ্যবার দেশের শত্রুদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে এবং জাতীয় নিরাপত্তার অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
বাজারে চলমান মূল্য–স্ফীতি ও নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “বর্তমানে দেশের সবচেয়ে জরুরি কাজ হলো উন্নয়ন ও অবকাঠামো–বৃদ্ধির পাশাপাশি বাজারে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। জনগণের ওপর অতিরিক্ত আর্থিক চাপ সৃষ্টি হতে দেওয়া যাবে না।”
শেষে তিনি দোয়া করে বলেন, “আমরা মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, যেন তিনি দেশের শান্তি–নিরাপত্তা অটুট রাখেন এবং মুসলমানদের মাঝে সকল বিভেদ দূর করে দেন।”
আপনার কমেন্ট