রবিবার ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ - ১৫:৩৭
ফাতিমা (সা.)-কে রাসুল (সা.)-এর অনন্য উপহার: গৃহ-দায়িত্বে ভারসাম্যের দৃষ্টান্ত

ইসলামের ইতিহাসে পরিবারব্যবস্থা ও দায়িত্ব বণ্টনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন নবী করিম (সা.)। একদিন তাঁর কন্যা ফাতিমা (সা.) ও আলী (আ.) যখন গৃহস্থালির দায়িত্ব নির্ধারণে পরামর্শ চান, তখন রাসুল (সা.) একটি এমন সিদ্ধান্ত দেন-যা শুধু একটি উপহারই নয়, বরং আদর্শ পরিবারব্যবস্থার রূপরেখাও বটে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, নবীর (সা.) নিকট থেকে ফাতিমা (সা.)-কে উপহার: দায়িত্ব বণ্টনে আদর্শ নীতি।
ইমাম সাদিক (আ.) বর্ণনা করেছেন—যা ‘কুরবুল-ইসনাদ’-এর হিমইরির সংকলনে (পৃষ্ঠা ৫২) উল্লেখ আছে-একদিন আলী (আ.) ও ফাতিমা (সা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দরবারে এসে অনুরোধ করলেন: আমাদের দায়িত্ব নির্ধারণ করে দিন-ঘরের ভেতর ও বাহিরের কাজের কোনটি কার ওপর থাকবে।

তখন নবী করিম (সা.) অত্যন্ত প্রজ্ঞাপূর্ণ সিদ্ধান্ত দিলেন

ফাতিমা (সা.) ঘরের ভেতরের দায়িত্ব পালন করবেন,

আর আলী (আ.) ঘরের বাইরে সম্পর্কিত কাজ সামলাবেন।

রাসুল (সা.)-এর এই বণ্টন ছিল সুসমন্বিত, ভারসাম্যপূর্ণ এবং ইসলামী পারিবারিক আদর্শের স্পষ্ট নমুনা।

ফাতিমা (সা.)-এর গভীর অনুভূতি

নবী (সা.)-এর সিদ্ধান্ত শুনে ফাতিমা (সা.) বলেন: আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না এই সিদ্ধান্ত আমার হৃদয়ে কত আনন্দ এনে দিয়েছে। কারণ রাসুল (সা.) আমাকে পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কঠোর বাইরের কাজের বোঝা বহন থেকে মুক্ত করেছেন।

আরবী বাক্য “تحمّل رقاب الرجال” দ্বারা বোঝানো হয়েছে—
পুরুষদের জন্য নির্ধারিত কঠিন ও শ্রমসাধ্য কাজের বোঝা বহন করা।

ফাতিমা (সা.) পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন যে তিনি বাইরে গিয়ে পুরুষদের কঠোর কাজ করার মতো দায়িত্ব পেয়ে ভারাক্রান্ত হননি-এটাই তাঁর জন্য নবীর উপহার।

নারীর মর্যাদা ও দায়িত্ব বোধে ইসলামের নির্দেশনা

এই ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়-
যদি কোনো নারী ঘরের বাইরে এমন কাজ করেন যা তাঁর মর্যাদা, সম্মান ও উপযোগিতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, তাহলে এতে কোনো অসুবিধা নেই। ফাতিমা (সা.)-এর বক্তব্য অনুযায়ী, ইসলাম নারীর কাজকে সীমাবদ্ধ করেনি; বরং সম্মান ও উপযোগিতার মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha