শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ - ২০:৫৭
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মুম্বাই / মুম্বাইয়ের ইমাম-এ-জুমা হাজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মাওলানা আহমদ আলী আবদী ১০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে শিয়া খোজা জামে মসজিদে জুমার খুতবায় ইমামতি পদবীর বিশেষত্

হাওজা / মাওলানা আহমদ আলী আবদী তার জুমার খুতবায় বলেন, ইমামতি একটি ইলাহী পদ, যা আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে দান করেন। এই পদে বয়সের কোন বিধিনিষেধ নেই। আল্লাহ তায়ালা হযরত ঈসা (আ.) কে নবুয়ত দান করেছিলেন যখন তিনি মা’র কোলে ছিলেন। এরকম নয় যে, কেউ বুড়ো হলে আল্লাহ তাকে ইমাম বানাবেন না।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মুম্বাই / মুম্বাইয়ের ইমাম-এ-জুমা হাজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মাওলানা আহমদ আলী আবদী ১০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে শিয়া খোজা জামে মসজিদে জুমার খুতবায় ইমামতি পদবীর বিশেষত্ব নিয়ে আলোচনা করেন এবং বলেন: “ইমাম সেই হন, যাকে আল্লাহ নির্বাচিত করেন। ইমাম নির্বাচনের অধিকার মানুষের হাতে আল্লাহ দেননি, কারণ ইমামের বৈশিষ্ট্য বুঝতে মানুষের সাধ্য নেই। যদি ৮ বিলিয়ন জনসংখ্যা কোনো ইমামের ইমামতি অস্বীকার করে, তবুও তার ইমামতির ওপর একদম কোনো প্রভাব পড়বে না। না মানুষের নির্বাচনের দ্বারা ইমাম নিযুক্ত হয়, না মানুষের বিরোধিতায় তার ইমামতি চলে যায়।”

মাওলানা আহমদ আলী আবদী আরও বলেন: “ইমামতি একটি ইলাহী পদ, আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে দান করেন। এই পদে বয়সের কোনো বাধা নেই। আল্লাহ তায়ালা হযরত ঈসা (আ) কে নবুয়ত দান করেছিলেন যখন তিনি মা’র কোলে ছিলেন।

মাওলানা আহমদ আলী আবদী বলেন: “আল্লাহ তায়ালা হযরত মুহাম্মদ তাকি (আ.) কে ৮ বছর বয়সে ইমাম বানিয়েছিলেন, হযরত আলী নাকি (আ.) ৬ বছর বয়সে ইমাম হয়েছেন, আর হযরত মাহদি (আ.) ৫ বছর বয়সে ইমাম হন। কারণ ইমামতির সম্পর্ক বয়সের সাথে নেই, বরং এটা আল্লাহর নির্বাচন।”

মাওলানা আহমদ আলী আবদী ইমামের বিশেষত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন: “আমাদের যতো ইমাম এসেছেন, তাদের মধ্যে কোন ইমামও এই পৃথিবীতে কারও কাছে একটি শব্দও শিখেননি, কোনো এক মুহূর্তের জন্যও কারও সামনে মাথা নিচু করেননি। তাদের সমস্ত জ্ঞান, সমস্ত বৈশিষ্ট্য আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে দান করেছেন। তাদের জ্ঞান ইলাহী, তাদের ক্ষমতা ইলাহী, তাদের গুণাবলি ইলাহী, আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে বিশেষ নূর থেকে সৃষ্টি করেছিলেন।”

মাওলানা আহমদ আলী আবদী আমীরুল মুমিনিন আলী (আ.) এর হাদিস "আলে মুহাম্মদ (আ.) এর সাথে কারও তুলনা করো না" উল্লেখ করে বলেন: “পৃথিবীজুড়ে সমস্ত পুণ্যবান, শহীদ, সৎ লোকেরা যদি একত্রিত হয় এবং তাদের সমস্ত আমল একত্র করা হয়, তবুও আলে মুহাম্মদ (আ.) এর একটি রাকআতের সাওয়াবের সমানও হবে না। আলে মুহাম্মদ (আ.) এর ফাজায়েলের সমান কেউ নেই। সাধারণ মানুষের কথা তো বাদ দিন, নবীদেরও এই তুলনা করা যায় না। আল্লাহ তায়ালা কোন নবীকে নবী করেননি যতক্ষণ না তারা তাদের ইমামতের স্বীকৃতি দেন।”

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha