হাওজা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আয়াতুল্লাহ আরাফি কুমে তার কার্যালয়ে ইমাম হুসাইন (আ.) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সর্দার মোহাম্মদ রেজা হাসানি আহাঙ্গরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি ইমাম জাওয়াদ (আ.)-এর পবিত্র জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান এবং রজব মাসের মহান বরকত থেকে উপকৃত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "উন্নতি, আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধি ও আত্মার পরিশুদ্ধি রজব মাস থেকে শুরু হয় এবং রমজান পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।"
হাওজা ইলমিয়ার প্রধান আরও বলেন:
জ্ঞানী ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিরা এই মাসগুলোতে বিশেষ উপাসনার পরিকল্পনা করতেন। এ সময়ের দোয়া এবং সুযোগগুলো থেকে লাভবান হওয়ার জন্য বিশেষ নির্দেশিকা রয়েছে। এই আধ্যাত্মিক পরিবেশ, পবিত্রতা ও আন্তরিকতা সমাজে, বিশেষত হাওজা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান থাকা উচিত।
তিনি বলেন, হাওজা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক দায়িত্ব হলো ঐশী জ্ঞান ও ধারণাগুলোকে তাদের কর্মসূচির অংশ করে তোলা। হাওজা তার স্বাভাবিক মিশনের মাধ্যমে এটি করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কেও এ ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
মজলিসে খবর্গানে রাহবরি (নেতৃত্ব পরিষদ)-এর সদস্য আয়াতুল্লাহ আরাফি বলেন:
ইমাম জাওয়াদ (আ.), ইমাম হাদি (আ.) এবং ইমাম আসকারি (আ.), যাদের আবনা আর-রেযা (আ.) বলা হয়, তারা সমাজকে ইমামদের উপস্থিতির যুগ থেকে গায়বতের যুগে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। এটি অত্যন্ত কঠিন দায়িত্ব ছিল।"
তিনি আরও বলেন, ইসলামি বিপ্লবের বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনগণের অংশগ্রহণের গুরুত্ব অসীম। আমাদের উচিত জনগণের প্রয়োজনীয়তার সমাধানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া। বিপ্লব আমাদের এমন একটি বিশেষ যুগ দিয়েছে যেখানে জনগণ কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ইতিহাসে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে। তাদের এই অবদান ও বিপ্লবের গুরুত্ব আমাদের আরও গভীরভাবে অনুধাবন করতে হবে। কারণ, যখন জনগণ কোনো কাজের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তারা সেটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়।
আপনার কমেন্ট