হাওজা নিউজ এজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী, কুম শহরে জুমার নামাজের পর আলোচনায় অংশগ্রহণ করে আয়াতুল্লাহ সৈয়দ মুহাম্মদ সাঈদী বলেন, যেভাবে হজরত জায়নাব (সা.আ.) কারবালার ঘটনাকে শত্রুর মিথ্যা প্রচারণা থেকে রক্ষা করেছিলেন, আজ আমাদেরও ৪৫৬ দিনের জায়োনিস্ট নির্যাতনের প্রকৃত সত্য বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে হবে এবং মিথ্যা বিবৃতিগুলোর বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক করতে হবে।
তিনি বলেন, কারবালার অভ্যুত্থান শুধুমাত্র একটি যুদ্ধ নয়, বরং এটি ইসলাম ধর্মের সুরক্ষা এবং তার পবিত্রতার জন্য একটি ঐতিহাসিক সাহসিকতা ছিল। আয়াতুল্লাহ সাঈদী আরও বলেন, কারবালার বার্তা হলো, যেকোনো ধরনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানো উচিত। তিনি গাজার প্রতিরোধ সংগ্রামকে একটি ঐতিহাসিক মোড় বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, এই যুদ্ধবিরতি কোনো যুদ্ধের সমাপ্তি নয়, বরং এটি একটি নতুন যুগের সূচনা, যেখানে জায়োনিস্ট পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে।
খুতবার সময়ে আয়াতুল্লাহ সাঈদী কুরআনের আয়াতের মাধ্যমে মুমিনদের আল্লাহর সঙ্গে তাদের ব্যবসার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বলেন, সর্বোত্তম স্থান যেখানে একজন মানুষ তার জীবন ও সম্পদ আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করতে পারে, তা হলো জিহাদ ও প্রতিরোধের ময়দান।
তিনি বলেন, জিহাদের উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর ধর্মের সাহায্য করা এবং ইসলামিক শিক্ষা বিস্তারের পথে প্রতিবন্ধকতাগুলি দূর করা। আয়াতুল্লাহ সাঈদী আরও জোর দেন যে, আল্লাহর সন্তুষ্টি জিহাদ ও প্রতিরোধের প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি, যা মানুষকে এই কঠিন পথে চলার জন্য প্রস্তুত করে।
আপনার কমেন্ট