হাওজা নিউজ এজেন্সি: হাওজায়ে ইলমিয়ার সুপ্রিম কাউন্সিলের সেক্রেটারি আয়াতুল্লাহ শাব জিন্দাদার, উচ্চতর ফিকহ ও ইসলামিক বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের পাগড়ি পরানোর অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তাদের ঈদুল মাবআসের শুভেচ্ছা জানান এবং বলেন, “প্রিয় ছাত্র যারা মুয়াম্মাম (পাগড়ি পরিধান) হচ্ছেন তাদের জানা উচিত যে এই সম্মানের মুকুট (পাগড়ি) মাথায় পরা সৌভাগ্যের বিষয়।”
তিনি বলেন, হযরত ইমাম খোমেনী (রহ.) বলতেন যে তালাবাদের (ধর্মীয় ছাত্রদের) বিষয় এমন যে, যদি তাদের কারোর কোনো খারাপ কাজ প্রকাশ পায়, তাহলে তার জন্য সকল তালাবাদের দোষী করা হয়।
তিনি আমামা পরিধানকারী ছাত্রদের উদ্দেশ্য বলেন, “সকল ছাত্রেরই ছাত্রত্বের শিষ্টাচারের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত, কিন্তু যে ব্যক্তি এই রুহানিয়াতের আধ্যাত্মিক পোশাকটি পরেন তার আরও বেশি সতর্ক ও যত্নবান হওয়া উচিত।”
তিনি কোম শহরের মাদরাসা-ই খানের একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, মাদরাসা-ই খানের একটি কক্ষে এক ছাত্র বাস করত এবং মরহুম ইমাম খোমেনী (রহ.) এর কাছে খবর পৌঁছায় যে এই ছাত্রটি কিছু অনুপযুক্ত (ধর্মীয় ছাত্রদের শানের সঙ্গে যায় না এমন) কথা বলেছে। ইমাম (রহ.) বললেন, এই ছাত্রের কোম ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। যখন তাকে বলা হলো যে এই ছাত্রটি পরিশ্রমী এবং অধ্যয়নশীল; তখন ইমাম (রহ.) বললেন, “না, কারণ একজন তালাবার অনুপযুক্ত কথা সকল ছাত্র তালাবাদের দূর্নাম করে এবং রুহানিয়াতের (আধ্যাত্মিকতার) মর্যাদাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।”
আয়াতুল্লাহ শাব জিন্দাদার বলেন, আলেমরা হলেন নবীদের উত্তরাধিকারী, তাই নবীদের উত্তরাধিকারীদের এমন আচরণ, কর্ম এবং মনোভাব থাকা উচিত- যাতে তারা সমাজকে আলোকিত ও শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারে। আলেম, ধর্মীয় ছাত্র, রুহানি এবং আধ্যাত্মিক নেতাদের সমাজ এবং সকল মানুষকে পবিত্র ও হেদায়েত করার দায়িত্ব বহন করা উচিত।
আপনার কমেন্ট