শনিবার ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ - ১১:২০
একজন ওয়াজিন ও মুবাল্লিগের প্রতি নবী করীম (সা.)’র ৩টি মহামূল্যবান উপদেশ

মিম্বরে যাও, তবে তিনটি শর্তে: প্রথমত: তেমার করা কোনও ওয়াদা ভঙ্গ করবে না; দ্বিতীয়ত: মিম্বরের জন্য তোমাকে যা (হাদিয়া) দেওয়া হবে- গ্রহণ করো এবং সেটা অল্প না বেশি- তা নিয়ে ভেবো না; তৃতীয়ত: যদি তুমি মিম্বরে থাকো এবং তোমার বক্তৃতার সময় চা, জল, শরবত বা অন্য কিছু পরিবেশন করা হয়, তাহলে অভিযোগ করবে না বা বিরক্ত হবে না।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: মরহুম আয়াতুল্লাহ বাহজাত (রহ.) “মিম্বরের গুরুত্ব এবং শর্তাবলী” শীর্ষক তাঁর ক্লাস-পরবর্তী এক বক্তৃতায় একজন প্রখ্যাত আলেমে দ্বীনের স্মৃতি শেয়ার করেছিলেন, যা হাওজা নিউজ এজেন্সির পাঠক, আলেম-ওলামা, মুবাল্লিগে দ্বীন ও জ্ঞানীদের খেদমতে তুলে ধরছি:

মরহুম আয়াতুল্লাহ বাহজাত (রহ.) বলেছিলেন: শেখ হাদী খোরাসানী (রহ.), যাকে আমাদের সময়ের একজন বিশিষ্ট ইসলামি পণ্ডিত হিসেবে বিবেচনা করা হত, (তিনি) এক বক্তৃতায় বলেছিলেন:  “মরহুম সাইয়্যিদ মুহাম্মদ কাজিম ইয়াজদীর পরে দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণের জন্য লোকেরা আমার চারপাশে জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু বিষয়টির জটিলতা এবং কাজের বিশালতার কারণে আমি মহান শিক্ষকতার দায়িত্ব,  পরিচালনা ও মারজিয়াতের গুরুভার থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলাম।”

আমি একদিন স্বপ্নে আল্লাহর রাসূল (সা.)-কে দেখলাম এবং তিনি আমাকে বললেন: “তুমি মারজিয়াত কবুল করছো না কেন?”

আমি বললাম, “এটা বেশ কঠিন এবং ভারী দায়িত্ব।”

তিঁনি (সা.) বললেন, “তাহলে মিম্বরে যাও, তবে তিনটি শর্তে:

প্রথমত: তোমার করা কোনও ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করো না।

দ্বিতীয়ত: তারা তোমাকে মিম্বরের জন্য যা (হাদিয়া) দেবে তা গ্রহণ করো এবং কম-বেশি নিয়ে ভেবো না।

তৃতীয়ত: যদি তুমি মিম্বরে থাকো এবং তোমার বক্তৃতার সময় তারা যদি চা, পানি, শরবত বা অন্য কিছু পরিবেশন করে, তাহলে অভিযোগ করো না এবং বিরক্তও হইও না।”

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha