হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, সালাওয়াতে শাবানিয়ার গুরুত্ব ও ফযীলত - আহলুল বায়েত (আ.)-এর হাদীসের আলোকে
ভূমিকা
শাবান মাস ইসলামি ক্যালেন্ডারের অন্যতম ফযীলতপূর্ণ মাস, যা রাসূলুল্লাহ (সা.) ও আহলুল বায়েত (আ.)-এর কাছে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। এই মাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আমল ও দোয়া রয়েছে, তার মধ্যে একটি হলো "সালাওয়াতে শাবানিয়া"। এটি রাসূলুল্লাহ (সা.) ও ইমামগণ (আ.) কর্তৃক বিশেষভাবে সুপারিশকৃত একটি দোয়া, যা শাবান মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমলসমূহের অন্যতম।
সালাওয়াতে শাবানিয়ার পরিচিতি:
সালাওয়াতে শাবানিয়া (الصلاة الشعبانية) হল একটি বিশেষ দোয়া, যা মাসুম ইমামগণ বিশেষত ইমাম আলী (আ.), ইমাম হাসান (আ.), ইমাম হুসাইন (আ.), ইমাম সাজ্জাদ (আ.) এবং অন্যান্য ইমামগণ (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। এটি শাবান মাসের প্রতিদিন পড়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে এবং এই দোয়াতে আল্লাহর রহমত ও রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর আহলুল বায়েত (আ.)-এর ওপর সালাম ও দরূদ পাঠ করা হয়।
ঐতিহাসিক প্রমাণ ও দলিল:
এই দোয়ার প্রধান উৎস হল শাইখ আবু জাফর তুসি (রহ.) রচিত বিখ্যাত দোয়া ও আমল সংকলন "মিসবাহ আল-মুতাহাজ্জিদ"। এছাড়াও, শাইখ ইবনু তাওস (রহ.) তাঁর গ্রন্থ "إقبال الأعمال" (ইকবাল আল-আমাল)-এ এটি উল্লেখ করেছেন।
প্রধান সূত্র:
১. শেইখ আব্বাসে কুম্মি (রহ.)- "মাফাতিহুল জিনান"
২. শাইখ তুসি (রহ.) - "মিসবাহ আল-মুতাহাজ্জিদ"
৩. শাইখ ইবনু তাওস (রহ.) - "ইকবাল আল-আমাল"
সালাওয়াতে শাবানিয়ার গুরুত্ব:
১. এটি আহলুল বায়েত (আ.)-এর শেখানো বিশেষ দোয়া:
ইমাম সাজ্জাদ (আ.) এই দোয়াটি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পাঠ করতেন এবং মুমিনদের এটি পাঠ করার জন্য উৎসাহ দিতেন।
ইমাম (আ.) বলেছেন:
"আমার পিতা (ইমাম হুসাইন আ.) এবং আমার দাদা (ইমাম আলী আ.) শাবান মাসে বিশেষভাবে এই দোয়া পাঠ করতেন।"
[মাফাতিহুল জিনান, শেখ আব্বাস কুমী]
২. এই দোয়া পাঠ করলে গুনাহ মাফ হয়:
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন:
"যে ব্যক্তি শাবান মাসে আন্তরিকভাবে সালাওয়াতে শাবানিয়া পাঠ করবে, আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং তার আমল কবুল করবেন।"
[বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ٩٨, পৃষ্ঠা ٨١]
৩. এটি নবী (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ:
ইমাম রিদা (আ.) বলেছেন:
"সত্যিকার অর্থে যে ব্যক্তি নবী (সা.) ও আহলুল বায়েত (আ.)-কে ভালোবাসে, সে শাবান মাসে এই দোয়াটি বেশি বেশি পড়বে।"
[ওয়াসাইলুশ শিয়া, খণ্ড ٧, পৃষ্ঠা ৩২৬]
সালাওয়াতে শাবানিয়ার ফযীলত:
১. আল্লাহর রহমত লাভ:
ইমাম বাকির (আ.) বলেছেন:
"এই দোয়া পাঠ করলে আল্লাহ বান্দার প্রতি দৃষ্টি দেন এবং তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দেন।"
[মাজমাউল বায়ান, তাফসির আয়াতুল্লাহ তাবারসি]
২. বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি:
ইমাম কাযিম (আ.) বলেছেন:
"যে ব্যক্তি শাবান মাসে এই দোয়া পাঠ করবে, সে দুনিয়া ও আখিরাতের বিপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।"
[তুহফা আল-উকূল, ইবনে শুবা হররানি]
৩. জান্নাতে স্থান লাভ:
ইমাম হাদী (আ.) বলেছেন:
"শাবান মাসে সালাওয়াতে শাবানিয়া পাঠ করা ব্যক্তির জন্য জান্নাতে বিশেষ মর্যাদা নির্ধারিত হয়।"
[আল-কাফি, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৬৮]
নিম্নে সালাওয়াতে শাবানিয়ার আরবী ও বাংলা অনুবাদ দেওয়া হলো।
সালাওয়াতে শাবানিয়া (আরবি ও বাংলায় উচ্চারণ ও অনুবাদসহ)
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ
شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ وَ مَوْضِعِ الرِّسَالَةِ وَ مُخْتَلَفِ الْمَلاَئِكَةِ وَ مَعْدِنِ الْعِلْمِ وَ أَهْلِ بَيْتِ الْوَحْيِ
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ
الْفُلْكِ الْجَارِيَةِ فِي اللُّجَجِ الْغَامِرَةِ يَأْمَنُ مَنْ رَكِبَهَا وَ يَغْرَقُ مَنْ تَرَكَهَا
الْمُتَقَدِّمُ لَهُمْ مَارِقٌ وَ الْمُتَأَخِّرُ عَنْهُمْ زَاهِقٌ وَ اللاَّزِمُ لَهُمْ لاَحِقٌ
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ
الْكَهْفِ الْحَصِينِ وَ غِيَاثِ الْمُضْطَرِّ الْمُسْتَكِينِ وَ مَلْجَإِ الْهَارِبِينَ وَ عِصْمَةِ الْمُعْتَصِمِينَ
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ
صَلاَةً كَثِيرَةً تَكُونُ لَهُمْ رِضًى وَ لِحَقِّ مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ أَدَاءً وَ قَضَاءً بِحَوْلٍ مِنْكَ وَ قُوَّةٍ يَا رَبَّ الْعَالَمِينَ
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ
الطَّيِّبِينَ الْأَبْرَارِ الْأَخْيَارِ الَّذِينَ أَوْجَبْتَ حُقُوقَهُمْ وَ فَرَضْتَ طَاعَتَهُمْ وَ وِلاَيَتَهُمْ
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ
وَ اعْمُرْ قَلْبِي بِطَاعَتِكَ وَ لاَ تُخْزِنِي بِمَعْصِيَتِكَ
وَ ارْزُقْنِي مُوَاسَاةَ مَنْ قَتَّرْتَ عَلَيْهِ مِنْ رِزْقِكَ بِمَا وَسَّعْتَ عَلَيَّ مِنْ فَضْلِكَ وَ نَشَرْتَ عَلَيَّ مِنْ عَدْلِكَ وَ أَحْيَيْتَنِي تَحْتَ ظِلِّكَ وَ هَذَا شَهْرُ نَبِيِّكَ سَيِّدِ رُسُلِكَ شَعْبَانُ الَّذِي حَفَفْتَهُ مِنْكَ بِالرَّحْمَةِ وَ الرِّضْوَانِ الَّذِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَ آلِهِ وَ (سَلَّمَ) يَدْأَبُ فِي صِيَامِهِ وَ قِيَامِهِ فِي لَيَالِيهِ وَ أَيَّامِهِ بُخُوعاً لَكَ فِي إِكْرَامِهِ وَ إِعْظَامِهِ إِلَى مَحَلِّ حِمَامِهِ
اللَّهُمَّ فَأَعِنَّا عَلَى الاِسْتِنَانِ بِسُنَّتِهِ فِيهِ وَ نَيْلِ الشَّفَاعَةِ لَدَيْهِ اللَّهُمَّ وَ اجْعَلْهُ لِي شَفِيعاً مُشَفَّعاً وَ طَرِيقاً إِلَيْكَ مَهْيَعاً وَ اجْعَلْنِي لَهُ مُتَّبِعاً حَتَّى أَلْقَاكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَنِّي رَاضِياً وَ عَنْ ذُنُوبِي غَاضِياً قَدْ أَوْجَبْتَ لِي مِنْكَ الرَّحْمَةَ وَ الرِّضْوَانَ وَ
أَنْزَلْتَنِي دَارَ الْقَرَارِ وَ مَحَلَّ الْأَخْيَارِ
বাংলা উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলে মুহাম্মাদ
শাজারাতিন নুবুওয়্যাহ, ওয়া মাওদিআর রিসালাহ,
ওয়া মুখতালাফিল মালায়িকা,
ওয়া মা’দিনিল ইলমি, ওয়া আহল বাইতিল ওহই।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলে মুহাম্মাদ
আলফুলকিল জারিয়াহ ফিল লুজাজিল গা-মিরাহ,
ইয়ামানু মান রাকিবাহা, ওয়া ইয়াগরাকু মান তারাকাহা।
আল-মুতাকাদ্দিমু লাহুম মারিক,
ওয়াল-মুতা-আখখিরু আনহুম জায়িক,
ওয়াল-লাজিমু লাহুম লাহিক।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলে মুহাম্মাদ
আল-কাহফিল হাসিন,
ওয়া গিযাসিল মুদতারিল মুস্তাকিন,
ওয়া মালজাআল হারিবিন,
ওয়া ইসমাতিল মু'তাসিমিন।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলে মুহাম্মাদ
সালাতান কাসিরাতান,
তাকুনু লাহুম রিদা,
ওয়া লিহাক্কি মুহাম্মাদিন ওয়া আলে মুহাম্মাদ,
আদাআন ওয়া কাদাআন,
বিহাওলিন মিনকা ওয়া কুওয়্যাহ,
ইয়া রাব্বাল আলামিন।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলে মুহাম্মাদ
আত তয়্যিবীন, আল আবরার, আল আখইয়ার,
আল্লাজিনা আওজাবতা হুকুকাহুম,
ওয়া ফারাজতা তা’আতাহুম,
ওয়া উইলায়াতাহুম।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলে মুহাম্মাদ
ওয়া আ’মুর কালবি বিটা’আতিক,
ওয়া লা তুখজিনি বিমা’সিয়াতিক।
ওয়ারযুকনি মু'ওয়াসাতা মান কাত্তারতা আলাইহি মিন রিযকিক,
বিমা ওয়াসসাতা আলাইয়া মিন ফাদলিক,
ওয়া নাশারতা আলাইয়া মিন আদলিক,
ওয়া আহইয়াইতানি তাহতা জিল্লিক।
ওয়া হাযা শাহরু নাবিয়্যিকা সাইয়্যিদি রুসুলিকা,
শা’বানুল্লাজি হাফ্ফাফ্তাহু মিনকা বিররাহমতি ওয়ার রিদওয়ান।
আল্লাজি কানা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম
ইয়াদা’বু ফি সিয়ামিহি ওয়া কিয়ামিহি,
ফি লায়ালিহি ওয়া আইয়ামিহি,
বুখু’আন লাকা ফি ইকরামিহি ওয়া ই'যামিহি,
ইলা মাহাল্লি হিমামিহি।
আল্লাহুম্মা ফা’ইন্না আলাল ইস্তিনানি বিসুন্নাতিহি ফিহি
ওয়া নাইলিশ শাফা’আতি লাদাইহি।
আল্লাহুম্মা ওয়াজআলহু লি শাফি’আন মুশাফফা’আ
ওয়া তারিকান ইলাইকা মাহইআ’আ
ওয়াজআলনি লাহু মুত্তাবি’আ,
হাত্তা আলক্বাকা ইয়াওমাল কিয়ামাতি,
আন্নি রাদিয়্যান,
ওয়া আন জুনুবি গাদিয়্যান।
ক্বাদ আওজাবতা লি মিনকা আররাহমাতা ওয়ার রিদওয়ান,
ওয়া আনযালতানি দারাল কারার,
ওয়া মাহাল্লাল আখইয়ার।
বাংলা অনুবাদ:
হে আল্লাহ! দরুদ ও সালাম বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারবর্গের প্রতি,
যারা নবুওতের মহিমান্বিত বৃক্ষ,
যারা বার্তাবাহকের আবাসস্থল,
যেখানে ফেরেশতাগণ আসা-যাওয়া করেন,
যারা জ্ঞানের ভান্ডার এবং
যারা ওহীর ঘরবাড়ির অধিবাসী।
হে আল্লাহ! দরুদ ও সালাম বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারবর্গের প্রতি,
যারা বয়ে চলা সেই জাহাজ,
যা উত্তাল সমুদ্রের মাঝে চলমান,
যার উপর ভর করলেই নিরাপত্তা লাভ করা যায়,
কিন্তু যে ব্যক্তি তা ছেড়ে দেয়, সে নিমজ্জিত হয়।
যারা তাদের থেকে এগিয়ে যায়, সে পথভ্রষ্ট,
যারা পিছিয়ে পড়ে, তারা ধ্বংসপ্রাপ্ত,
আর যারা তাদের সাথে থাকে, তারা সফল ও পৌঁছানো ব্যক্তিরূপে থাকে।
হে আল্লাহ! দরুদ ও সালাম বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারবর্গের প্রতি,
যারা দৃঢ় দুর্গ,
যারা অসহায় ও বিপদগ্রস্তের আশ্রয়স্থল,
যারা পলাতকদের নিরাপদ আশ্রয়,
যারা অবলম্বন গ্রহণকারীদের রক্ষাকর্তা।
হে আল্লাহ! দরুদ ও সালাম বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারবর্গের প্রতি,
একটি পরিপূর্ণ, অপরিসীম ও অধিক পরিমাণে,
যা তাদের সন্তুষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়াবে
এবং মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারের অধিকার পরিপূর্ণভাবে আদায়ের কারণ হবে,
তোমার শক্তি ও কুদরতের মাধ্যমে,
হে বিশ্বজগতের প্রতিপালক!
হে আল্লাহ! দরুদ ও সালাম বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারবর্গের প্রতি,
যারা পবিত্র, পরহেযগার ও কল্যাণময়,
যাদের প্রতি তুমি অধিকারের বাধ্যবাধকতা দিয়েছ,
যাদের আনুগত্য ও নেতৃত্বকে তুমি ফরয করেছ।
হে আল্লাহ! দরুদ ও সালাম বর্ষণ করুন মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদের পরিবারবর্গের প্রতি,
এবং আমার অন্তরকে তোমার আনুগত্য দ্বারা পূর্ণ করো,
আমাকে তোমার অবাধ্যতার কারণে লাঞ্ছিত করো না।
আর আমাকে তাদের সাহায্যে নিয়োজিত করো,
যাদের প্রতি তুমি তোমার রিজিক সংকুচিত করেছ,
আমার প্রতি তোমার অনুগ্রহকে বিস্তৃত করেছ,
তোমার ন্যায়বিচার আমার জন্য ছড়িয়ে দিয়েছ,
এবং আমাকে তোমার ছায়ার নিচে জীবন দান করেছ।
হে আল্লাহ! এটি তোমার নবী ও বার্তাবাহকের মাস – শা‘বান,
যাকে তুমি তোমার রহমত ও সন্তুষ্টির চাদরে আচ্ছাদিত করেছ।
যে মাসে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম)
অধিক পরিমাণে রোযা রাখতেন ও নামাজ আদায় করতেন,
এবং রাত ও দিনগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন ইবাদত করতেন,
তোমার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করার জন্য,
যতক্ষণ না তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নেন।
হে আল্লাহ! আমাদেরকে সাহায্য করো এই মাসে তাঁর সুন্নাত অনুসরণ করতে,
এবং তাঁর সুপারিশ লাভ করার যোগ্য করে তুলো।
হে আল্লাহ! তাঁকে আমার জন্য সুপারিশকারী করো,
এবং তোমার দিকে পৌঁছানোর সরল পথ করে দাও।
আমাকে তাঁর অনুসারী করো,
যেন আমি তোমার সামনে উপস্থিত হই কিয়ামতের দিনে,
এবং তুমি আমার প্রতি সন্তুষ্ট হও,
আমার পাপগুলো ক্ষমা করো,
আমার প্রতি তোমার রহমত ও সন্তুষ্টি ফরয করে দাও,
এবং আমাকে চিরস্থায়ী আবাসে স্থান দাও,
যেখানে নেককার ও কল্যাণপ্রাপ্তগণ অবস্থান করবে।
উপসংহার:
শাবান মাস রহমতের মাস, আর এই মাসে বিশেষভাবে সালাওয়াতে শাবানিয়া পাঠ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। এটি শুধু আমাদের গুনাহ মাফের মাধ্যম নয়, বরং এটি নবী (সা.) ও আহলুল বায়েত (আ.)-এর প্রতি ভালোবাসা ও আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ। এজন্য, আমাদের উচিত এই মাসে বিশেষভাবে এই দোয়াটি পড়া এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করা।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে শাবান মাসের বরকত লাভের তাওফিক দান করুন এবং সালাওয়াতে শাবানিয়ার মাধ্যমে আমাদের গুনাহ ক্ষমা করুন ও আমাদের রূহকে পবিত্র করুন।
লেখক: কবির আলী তরফদার কুম্মি।
তারিখ: ০৮/০২/২০২৫
আপনার কমেন্ট