হাওজা নিউজ এজেন্সি ফার্স নিউজ এজেন্সির বরাতে জানিয়েছে, বৈঠকে শাবাক (ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা) প্রধান বলেছেন, “এটি অসম্ভব যে আমরা ট্রাম্পকে এই যুদ্ধ শেষ করতে বলব। এই বিষয়টি কোনোভাবেই আলোচনায় নেই এবং ঘটবেও না।”
অন্যদিকে, বন্দী বিষয়ক দায়িত্বে থাকা জেনারেল এলন বলেছেন, “যদি আমরা হামাসের দাবি নিয়ে আলোচনা করতে অস্বীকার করি, তাহলে বন্দীদের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হবে না এবং কোনো বন্দী মুক্তি পাবে না। আমাদের অবশ্যই বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কিছু বন্দী ফেরত আনার জন্য আলোচনা করতে হবে। আমেরিকানরা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায় এগিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।”
তবে নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ এবং আলোচনার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী ডেরমার এই অবস্থানের তীব্র বিরোধিতা করে বলেছেন, “আমরা হামাসকে একদিনও ক্ষমতায় থাকতে দেব না। আমরা এক মিনিটের জন্যও এই বিষয়টি সহ্য করতে পারি না। তুমি বাস্তবতা বুঝতে পারছ না, হামাস একটি 'সন্ত্রাসী গোষ্ঠী' যারা ৭ অক্টোবর আমাদের বিরুদ্ধে হামলা করেছে।”
এই উত্তপ্ত আলোচনা ইসরায়েলি সরকারের অভ্যন্তরে চলমান মতবিরোধ, বিভেদ ও উত্তেজনারই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। বন্দী ইস্যু ও হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে নীতিগত দ্বন্দ্ব এতটাই প্রকট হয়েছে তা প্রকাশ হতে শুরু করেছে। এই প্রকাশ্য মতবিরোধ, দ্বন্দ্ব ও পরস্পর বিরোধী অবস্থান ইসরায়েলি নেতৃত্বের মধ্যে আরও গভীর বিভক্তি তৈরি করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন।
আপনার কমেন্ট