হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি (জেসিপিওএ)-তে অংশগ্রহণকারী তিনটি প্রধান ইউরোপীয় দেশকে কৌশলগত ভুল করা থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, “ইরান তার অধিকার লঙ্ঘনের যেকোনো প্রয়াসের মোকাবিলা করবে।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাকচির এই সতর্কবার্তা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র গভর্নর বোর্ডের জন্য একটি প্রস্তাব উত্থাপনের প্রেক্ষাপটে এসেছে। এই প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ও তিনটি ইউরোপীয় দেশ (জেসিপিওএ-এর সদস্য) দাবি করেছে যে ইরান তার নিরাপত্তা বাধ্যবাধকতা পালন করেনি।

টুইটার এক্স-এ এক পোস্টে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাকচি লিখেছেন, “আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে বছরের পর বছর সফল সহযোগিতার পর—যার ফলে ‘সম্ভাব্য সামরিক মাত্রা’ (পিএমডি) সংক্রান্ত পক্ষপাতদুষ্ট অভিযোগের অবসান ঘটে—ইরানকে আবারও ‘বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন’-এর মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “সদিচ্ছাপূর্ণ সমাধানের পথ বেছে নেওয়ার পরিবর্তে, ইউরোপীয় ত্রয়ী (জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য) আইএইএ-র গভর্নর বোর্ডে ইরানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান নিয়েছে। ২০০৫ সালে এই একই দেশগুলো অনুরূপ আচরণ করেছিল, যার ফলশ্রুতিতে ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি শুরু করে।”

“গত দুই দশকেও কি ইউরোপীয় ত্রয়ী কোনো শিক্ষা গ্রহণ করেনি?” – তিনি প্রশ্ন তোলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সমালোচনা করে বলেন, “দুর্বল ও রাজনীতিকৃত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইরানের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের মিথ্যা অভিযোগ তোলা স্পষ্টতই সংকট সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রণোদিত।”

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “ইউরোপ যখন আরেকটি বড় কৌশলগত ভুলের দ্বারপ্রান্তে, তখন স্মরণ রাখুন: ‘ইরান তার অধিকার লঙ্ঘনের যেকোনো প্রচেষ্টার মোকাবিলা করবে। এজন্য সম্পূর্ণ দায়িত্ব সেই দায়িত্বজ্ঞানহীন পক্ষগুলোর উপর বর্তাবে, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে সংকট তৈরি করতে চাইছে।’”