শুক্রবার ৬ জুন ২০২৫ - ১৯:১৪
মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সাহায্যের সব পথ বন্ধ করে দিতে হবে

হজ উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এ বছরও মুসল্লিদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল উজমা সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আপনার বার্তায় তিনি বলেন, এটি দ্বিতীয় হজ, যা গাজা এবং পশ্চিম এশিয়ার মর্মান্তিক ঘটনাবলীর মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফিলিস্তিনে দখলদার অপরাধী সিয়োনী চক্র নজিরবিহীন নৃশংসতা ও নির্মমতার মাধ্যমে গাজার বিপর্যয়কে ভয়াবহ মাত্রায় নিয়ে গেছে। বর্তমানে ফিলিস্তিনের শিশুরা শুধু বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্রেই নয়, বরং ক্ষুধা ও পিপাসায়ও মারা যাচ্ছে। প্রিয়জন, সন্তান এবং পিতামাতা হারানো শোকাহত পরিবারগুলোর সংখ্যা প্রতিদিন বেড়ে চলেছে। এই মানবিক বিপর্যয়ের সামনে কারা দাঁড়াবে?

নিঃসন্দেহে প্রথম দায়িত্ব ইসলামি দেশগুলোর সরকারগুলোর ওপরই বর্তায়। এরপর দায়িত্ব সেই সব জাতির, যারা নিজেদের সরকারকে এই দায়িত্ব পালনের জন্য চাপ দিতে পারে। মুসলিম দেশগুলোর মাঝে রাজনৈতিক মতভেদ থাকতে পারে, কিন্তু এই মতভেদ গাজার মর্মান্তিক সংকটের বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণ এবং বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জনগণের পক্ষে একত্রে কাজ করার পথে বাধা হওয়া উচিত নয়।

তিনি বলেন, মুসলিম দেশগুলোর উচিত ইসরায়েলের প্রতি সব ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতার পথ বন্ধ করে দেওয়া এবং এই অপরাধী রাষ্ট্রকে গাজায় তার নির্মম হামলা চালিয়ে যেতে বাধা দেওয়া। যুক্তরাষ্ট্র নির্দ্বিধায় এই সিয়োনী অপরাধের অংশীদার। এই অঞ্চলে ও অন্যান্য ইসলামি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি যেসব শক্তি অনুগত, তাদের উচিত কোরআনের আহ্বান শুনে নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ানো এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী সরকারকে তার অন্যায় আচরণ থামাতে বাধ্য করা।

হজে “বরাআত” (অবিচার থেকে বিতর্ক ও বিমুক্তির ঘোষণা) হলো এই পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

তিনি আরও বলেন, গাজার জনগণের অবিশ্বাস্য প্রতিরোধ ফিলিস্তিন ইস্যুকে পুরো মুসলিম বিশ্ব এবং বিশ্বের সকল স্বাধীন ও বিবেকবান মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত করেছে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha