মঙ্গলবার ৪ মার্চ ২০২৫ - ০৯:৩০
কুরআনের আলো: ২য় পারার কতিপয় শিক্ষা

পবিত্র কুরআনের দ্বিতীয় পারায় আল্লাহর ন্যায়পরায়ণতা, মহানুভবতা, মানব জীবনের নানান পরীক্ষা-নীরিক্ষা ও তা থেকে উত্তরণের পথ, শাহাদাত ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী আলোকপাত করা হয়েছে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: কুরআনের নাযিলের মাস রমজানে হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন জনাব ড. আব্দুল্লাহ সংকলিত ‘কুরআনের আলো’ পুস্তিকা থেকে আমরা ধারাবাহিকভাবে কুরআনের ৩০ পারার শিক্ষা তুলে ধরছি:

১. আল্লাহ কারো ঈমান ও আমল বিনষ্ট করেন না।

২. নেক কাজে একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে।

৩. একমাত্র আল্লাহকে ভয় করতে হবে।

৪. সব সময় আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে এবং তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে।

৫. ধৈর্য এবং নামাযের দ্বারা আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে।

৬. যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয় তারা মৃত নয় বরং তারা জীবিত।

৭. আল্লাহ আমাদেরকে পরীক্ষা করবেন ভয়-ভীতি, অনাহার, জানমালের ক্ষতি এবং ফল শস্যের স্বল্পতা দ্বারা।

৮. মুসিবতের সময় আমাদেরকে বলতে হবে, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

৯. যারা আল্লাহর বিধানকে গোপন করবে তাদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত বর্ষিত হবে।

১০. কিন্তু যারা তওবা করবে, নিজেদেরকে সংশোধন করবে এবং আল্লাহর বিধান বর্ণনা করবে আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন।

১১. আল্লাহর বিধানকে বাদ দিয়ে পূর্বপুরুষদের অন্ধ অনুকরণ করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

১২. যারা সামান্য পয়সার বিনিময়ে আল্লাহর বিধানকে গোপন করে তারা নিজেদের পেটকে আগুন দিয়ে পূর্ণ করে।

১৩. নেককারদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে: (ক) তারা আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতামন্ডলী, আসমানী কিতাব এবং নবীদের উপর ঈমান আনে, (খ) আত্মীয়স্বজন, ইয়াতীম, মিসকিন, মুসাফির, ভিক্ষুক এবং গোলামদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করে, (গ) নামাজ কায়েম করে, (ঘ) যাকাত আদায় করে, (৫) ওয়াদা পালন করে, (ঙ) বিপদ আপদ, ক্ষয়ক্ষতি এবং যুদ্ধের সময় ধৈর্য ধারণ করে, (চ) তারা সত্যবাদী এবং পরহেজগার।

১৪. মৃত্যুর আগে পিতামাতা এবং আত্মীয় স্বজনের জন্য ওসিয়ত করা অপরিহার্য কর্তব্য।

১৫. আমাদের উপর রোজাকে ফরজ করা হয়েছে যেন আমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারি।

১৬. যারা রমজান মাসে অসুস্থ থাকবে অথবা সফরে যাবে তারা অন্য সময় কাজা আদায় করে। আর যাদের রোজা রাখার মোটেই সামর্থ্য নাই তারা ফিদিয়া প্রদান করবে।

১৭. সুবহে সাদিক থেকে রাত্রির আগমন পর্যন্ত রোজা রাখতে হবে।

১৮. আল্লাহর কাছে এই বলে দোয়া করতে হবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়া এবং আখেরাতে কল্যাণ দান করো এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।

১৯. পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, এতীম, মিসকীন এবং মুসাফিরকে আর্থিক সহযোগিতা করতে হবে।

২০. যারা ঈমান আনবে, হিজরত করবে এবং আল্লাহর রাস্তায় কঠোর চেষ্টা-প্রচেষ্টা করবে তারাই আল্লাহর রহমত পাওয়ার উপযুক্ত।

হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন জনাব ড. আব্দুল্লাহ সংকলিত ‘কুরআনের আলো’ পুস্তিকা থেকে গৃহীত।

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha