হাওজা নিউজ এজেন্সি-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ মোহাম্মদ সাঈদী পবিত্র কোম নগরীতে জুমার খুতবায় বলেন, ইরান ও আমেরিকার মধ্যে চলমান সংলাপকে বিশ্ব একটি অস্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে দেখছে, কারণ ইতিহাসে এই প্রথম দুই চরম শত্রু এক টেবিলে মুখোমুখি বসেছে, যাদের মধ্যে পাঁচ দশক ধরে বিরোধ চলছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব এই সংলাপকে শুধু রাজনৈতিক আলোচনা হিসেবে দেখছে না, বরং এটিকে দুই বিশ্বশক্তির ক্ষমতার পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করছে। আমেরিকা ইরানকে দুর্বল দেখানোর চেষ্টা করছে এবং তাকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে চাপ দিচ্ছে, অন্যদিকে ইরান তার প্রাকৃতিক অধিকার অর্থাৎ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
আয়াতুল্লাহ সাঈদী বলেন, ইরানি জাতি আমেরিকার ঔদ্ধত্যপূর্ণ নীতির বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন এবং জানে যে প্রকৃত সফলতা কেবল আল্লাহর সাহায্যের মাধ্যমেই সম্ভব। তিনি (২৫ এপ্রিল ১৯৮০)-এ তাবস অঞ্চলে আমেরিকার সামরিক অভিযানের ব্যর্থতাকে ঈশ্বরীয় সহায়তায় পাওয়া একটি বড় অর্জন হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, হযরত ফাতিমা মাসুমা সালামুল্লাহ আলাইহার পবিত্র জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বলা উচিত যে, তাঁর হিজরত কোম নগরীকে একটি জ্ঞান ও সংস্কৃতির কেন্দ্রে পরিণত করেছে এবং তিনি আজও ইসলামী বিশ্বের নারীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ আদর্শ।
তিনি ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর জ্ঞানগত অবদানের প্রশংসা করে বলেন, তাঁর সময় ছিল একটি জাগরণ ও জ্ঞানচর্চার যুগ। আমাদেরও উচিত সময়ের দাবি অনুযায়ী আমাদের দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন করা।
সবশেষে তিনি বলেন, আজ ইসলামী ঐক্য রক্ষা এবং ধর্মীয় পবিত্রতার সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শত্রু আমাদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়, তাই আমাদের উচিত দূরদর্শিতা, ঐক্য এবং সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার (রহবারে মুআয্জাম) নেতৃত্বে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা।
আপনার কমেন্ট