হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইমাম মুহাম্মাদ বাকির (আ.) বলেছেন,
اذا جَلَستَ الی عالمٍ فَكُن عَلی أن تستَمِعَ أحْرَص منكَ علی أن تقول
যখন তুমি কোনো আলেমের (জ্ঞানীর) সংস্পর্শে থাকো, তখন নিজে কথা বলার চেয়ে তার কথা শোনার জন্য চেয়ে বেশি আগ্রহী ও সচেষ্ট হওয়া উচিত।
[বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড- ২, পৃষ্ঠা- ৪৩]
হাদিসের ব্যাখ্যা ও শিক্ষা
হাদিসের তাৎপর্য: ইমাম মুহাম্মাদ বাকির (আ.) আমাদের শিখিয়েছেন যে, জ্ঞানী ব্যক্তির সান্নিধ্যে গেলে আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত তাদের নিকট থেকে জ্ঞান অর্জন করা, নিজের কথা চাপিয়ে দেওয়া নয়। এটি শিষ্টাচার, বিনয় ও জ্ঞানার্জনের মূলনীতি প্রকাশ করে।
মূল শিক্ষা:
১. শ্রবণের গুরুত্ব: জ্ঞানী ব্যক্তির কাছ থেকে শেখার সর্বোত্তম উপায় হল মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনা। নবীজি (স.) বলেছেন, “জ্ঞান অর্জন করা প্রতিটি মুসলিমের উপর ফরজ।” (আল-হাদীস)
২. বিনয় প্রকাশ: বেশি কথা বলার চেয়ে নীরব থেকে জ্ঞান লাভ করা বুদ্ধিমানের কাজ। হযরত আলী (আ.) বলেছেন, “নীরবতা জ্ঞানের একটি বাগান।”
৩. আদব রক্ষা: আলেমদের সামনে সম্মান ও ধৈর্য্য বজায় রাখা ঈমানের অংশ।
বাস্তব প্রয়োগ:
- আলেম বা শিক্ষকের সামনে বসার সময় ধৈর্য্য ধরে তাদের বক্তব্য শুনুন।
- অহংকার বা অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক এড়িয়ে চলুন।
- জিজ্ঞাসা করার আগে গভীরভাবে চিন্তা করুন।
উদ্ধৃতি:
“যে ব্যক্তি নিজের অজ্ঞতা স্বীকার করে, সে জ্ঞানের দরজা খুলে দেয়।” — ইমাম জাফর সাদিক (আ.)
আপনার কমেন্ট