হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইমাম মুসা ইবনে রেজা (আ.) বলেন,
مَنْ زَارَنِي عَلَى بُعْدِ دَارِي أَتَيْتُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي ثَلَاثِ مَوَاطِنَ حَتَّى أُخَلِّصَهُ مِنْ أَهْوَالِهَا إِذَا تَطَايَرَتِ الْكُتُبُ يَمِيناً وَ شِمَالًا وَ عِنْدَ الصِّرَاطِ وَ عِنْدَ الْمِيزَانِ
যে ব্যক্তি দূরদেশে (আমার প্রবাসস্থলে) আমাকে জিয়ারত করবে, কিয়ামতের দিন আমি তিন স্থানে তার নিকট উপস্থিত হব এবং তাকে সেসব স্থানের ভয়াবহতা থেকে মুক্তি দান করব:
১. যখন আমলনামাসমূহ ডান ও বাম দিকে বিতরণ করা হবে,
২. পুলসিরাতের নিকট,
৩. এবং মীযানের সময়।
[ওয়াসায়েলুশ্ শিয়া, খণ্ড- ১০, পৃষ্ঠা- ৪৩৩]
প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা:
১. কিয়ামতের তিন কঠিন মুহূর্তে সাহায্য:
আমলনামা প্রদানের সময়: এই মুহূর্তে মানুষের ভালো-মন্দ কাজ প্রকাশিত হবে। ইমাম (আ.) জিয়ারতকারীর পক্ষে সুপারিশ করবেন।
পুলসিরাত: এটি জাহান্নামের ওপর স্থাপিত সেতু, যা অতিক্রম করা অত্যন্ত কঠিন। ইমাম (আ.) জিয়ারতকারীকে সঠিক পথ দেখাবেন।
মীযান: আমলের ওজন করার সময়। ইমাম (আ.) এর শাফাআতে জিয়ারতকারীর ভালো কাজের পাল্লা ভারী হবে।
২. জিয়ারতের গুরুত্ব:
- ইমাম রেযা (আ.)-এর জিয়ারত শুধু সম্মান প্রদর্শন নয়, বরং আধ্যাত্মিক সুফল ও কিয়ামতের নিরাপত্তার মাধ্যম।
- দূরদেশে গিয়ে জিয়ারত করলে বিশেষ সওয়াব, কারণ এটি ইমাম (আ.)-এর প্রতি গভীর ভালোবাসা ও ত্যাগের প্রমাণ।
শিক্ষা:
আহলে বাইতের সঙ্গে সম্পর্ক: ইমামের জিয়ারত ঈমান ও ভালোবাসাকে শক্তিশালী করে।
কিয়ামতের প্রস্তুতি: ইমাম (আ.)-এর শাফাআত পেতে চাইলে তাঁর স্মরণ ও অনুসরণ প্রয়োজন।
সফরের গুরুত্ব: যদি সম্ভব হয়, ইমাম রেযা (আ.)-এর মাজার শরিফ জিয়ারতের জন্য ভ্রমণ করা উচিত।
মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন,
“আমার আহলে বাইতের জিয়ারত করা ঈমানের অংশ।”
(বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ২৭, পৃষ্ঠা ৯৩)
আমাদের করণীয়:
- অন্তত দূর থেকে সালাম প্রেরণ বা মানত করে জিয়ারতের ইচ্ছা পোষণ করা।
- ইমাম রেযা (আ.)-এর শিক্ষা ও সুন্নত অনুসরণ করা।
চূড়ান্ত বার্তা:
ইমামের জিয়ারত শুধু একটি দৈহিক সফর নয়, বরং এটি আত্মার পরিশুদ্ধি ও আখেরাতের পাথেয় সংগ্রহ।
আপনার কমেন্ট