হাওজা নিউজ এজেন্সি: জেনারেল বাকেরি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, “ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেটওয়ার্কভিত্তিক ও আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন।”
তেহরান থেকে হাওজা সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল বাকেরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি পরিদর্শনকালে বলেন, “প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে আমরা প্রতিরক্ষা শিল্পের সর্বশেষ অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছি। আল্লাহর রহমতে, গত বছরের তুলনায় আমরা অভূতপূর্ব উন্নতি প্রত্যক্ষ করছি।”
তিনি স্পষ্ট করেন যে, “উন্নয়নকৃত অস্ত্র ও প্রযুক্তিসমূহ বর্তমান বৈশ্বিক সংঘাত ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম। গত দুই বছরে প্রতিরক্ষা খাতে যে বৈপ্লবিক উন্নয়ন ঘটেছে, তা আমাদের সামরিক সক্ষমতায় স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে। পরীক্ষামূলক ব্যবহারে এসব প্রযুক্তির কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে, যা ভবিষ্যতের সম্ভাব্য সংঘাতে আমাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দেবে।”
প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান আরও ব্যাখ্যা করেন, “ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার, সাইবার সিকিউরিটি এবং অন্যান্য আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুর মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমাদের উন্নয়নকৃত সিস্টেমে গতিশীলতা, বুদ্ধিমত্তা, নেটওয়ার্ক সক্ষমতা, শক্তিশালী বিস্ফোরক ক্ষমতা এবং উচ্চ নির্ভুলতা নিশ্চিত করা হয়েছে।”
জেনারেল বাকেরি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রতিরক্ষা শিল্পের অবদানের কথাও তুলে ধরেন: “প্রতিরক্ষা খাতের অর্জনসমূহ বেসামরিক খাতে হস্তান্তর করা হচ্ছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে আমরা একাধিক চুক্তি বাস্তবায়ন করেছি, যার ফলশ্রুতিতে আমাদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি সারাদেশে ব্যবহৃত হচ্ছে।”
শক্তি খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতার বিষয়ে তিনি জানান, “প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বিদ্যুৎ খাতে স্বাবলম্বী হওয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যেই উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছি এবং আরও বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছি, যাতে করে জাতীয় গ্রিডের ওপর আমাদের নির্ভরতা কমে আসে। বরং আমরা অতিরিক্ত উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করতে সক্ষম হব।”
তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন এভাবে: “এই সকল উন্নয়ন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গতিশীলতা, উদ্ভাবনী শক্তি ও আধুনিকায়নের সাক্ষ্য বহন করে।”
আপনার কমেন্ট