হাওজা নিউজ এজেন্সি: মাশহাদী রমজান নামে এক কসাই একদিন দেখলেন, এক নারী তার দোকানে কসাইয়ের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও নিজের পালা আসলেও বারবার পিছিয়ে যাচ্ছেন শেষ পর্যন্ত তিনি এগিয়ে এসে কিছু মাংস নিলেন, কিন্তু দাম না দিয়ে স্বামীর পরিচয়পত্র জামানত হিসেবে দিলেন। তিনি বললেন, ‘আমার স্বামী একজন রাজমিস্ত্রি। কাজের সময় দেয়াল থেকে পড়ে গেছেন। এখন তিনি ঘরে শয্যাশায়ী এবং গত এক সপ্তাহ ধরে আমাদের ঘরে রাতের খাবার জোটেনি।’
আমি তার ঠিকানা নিয়ে সরাসরি তার বাড়িতে গেলাম। গিয়ে দেখি, সেই নারী একটি গালিচার উপর বসে স্বামীকে খাবার খাওয়াচ্ছেন।
সেদিনই আমি পরিবার নিয়ে মাশহাদ সফরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সে উদ্দেশ্যে আমি ২০০ তুমান জমা করেছিলাম। আমি ইমাম রেজা (আ.)-এর দরবারে হৃদয়ের গভীর থেকে বললাম, ‘হে আমার ইমাম! আমি অন্য কোনো সময় আপনার জিয়ারতে আসব।’ এরপর সেই পুরো টাকা পরিবারটির হাতে তুলে দিলাম।
এই সিদ্ধান্তের কারণে পরিবারের লোকেরা আমাকে তিরস্কার করেছিল। কিন্তু সেদিন রাতেই আমি স্বপ্নে দেখি, আমি মাশহাদ পৌঁছেছি। দেখি, ইমামের সাহান (আঙিনা) মানুষের ভিড়ে পূর্ণ এবং কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
হঠাৎ দেখি, হেরেম শরীফের একজন খাদেম সামনে এসে বলছেন, ‘হে জনসাধারণ! রাস্তা ছেড়ে দিন, মাশহাদী রমজান এসেছেন।’
আমি দেখি, ইমাম রেজা (আ.) নিজেই জানালার ভেতর থেকে আমাকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন এবং বলছেন, ‘আমাদের ঘরে তোমাকে স্বাগতম।’
সেই মুহূর্তেই বুঝে যাই, আমার নিঃস্বার্থ কাজটি কবুল হয়েছে।
তথ্যসূত্র: মুফাসসিরে কুরআন ওস্তাদ আবুল ফজল বেহরামপুরের বক্তৃতা
“জিন্দেগি বা কোরআন” (কোরআনের সঙ্গে জীবনযাপন), খণ্ড- ২, পৃষ্ঠা- ৯৫
আপনার কমেন্ট