হাওযা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হাওযা ইলমিয়ার কেন্দ্রীয় পরিচালনা বোর্ডের বিবৃতির মূল বক্তব্য নিম্নরূপ:
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও আলেমদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো সত্যের পাশে থাকা এবং ঐতিহাসিক ও অতীত সত্যকে বিকৃত করার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। আমাদের প্রিয় দেশ ইরানের গৌরবময় ইতিহাস, বিদেশি শত্রুদের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক বীরদের ত্যাগ ও সংগ্রামে পূর্ণ; যারা শত্রুদের লোভ দূর করে দিয়েছে। একইসাথে, এই সাহসী জাতি সর্বদা ইসলামের বিশুদ্ধ শিক্ষা গ্রহণে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে এবং সত্যের পাশে ছিল। এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ৮ বছরব্যাপী যুদ্ধ, যেখানে এই মাটি ও দেশের সন্তানরা প্রান উৎসর্গ করে ইসলামী ইরানকে রক্ষা করেছে এবং দেশীয় সম্পদ ও জাতীয়-ধর্মীয় পরিচয়কে সুরক্ষা দিয়েছে।
ফারস উপসাগর ইরানের জাতীয় পরিচয়ের এক মূল্যবান প্রতীক, যার নাম এই অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাসে রূপ নিয়েছে এবং বহু ঐতিহাসিক গ্রন্থেও তা উল্লেখ রয়েছে।
ইরানি জাতি সর্বদা অন্য জাতির সংস্কৃতি, ভূগোল এবং সম্পদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এবং কখনও তা অধিগ্রহণের উদ্দেশ্যে লোভের দৃষ্টিতে তাকায় না; তবে কেউ যদি ইরানের বস্তুগত, আধ্যাত্মিক বা ঐতিহাসিক সম্পদের দিকে হাত বাড়ায়, তাহলে অতীতের মতোই তাদের সেই হাত কেটে ফেলা হবে।
সকলের জানা উচিত, এই ধরণের কর্মকাণ্ড ঔপনিবেশিক শক্তির আগ্রাসী দৃষ্টিভঙ্গির ধারাবাহিকতা, যার উদ্দেশ্য মুসলিম জাতিসমূহের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা। আমাদের অঞ্চলের ভাইদের জানা উচিত, এই উপনিবেশবাদীরা কখনও এ অঞ্চলের মঙ্গল কামনা করে না; তারা শুধু বিভক্তি সৃষ্টি করে এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠন এবং ইহুদি জায়নবাদী রাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখতে চায়। সমগ্র ইসলামী উম্মাহ ও বিশ্ববাসী ইরানিরা কিভাবে ফিলিস্তিন ও নিপীড়িতদের পক্ষে ত্যাগ স্বীকার করেছে, তা প্রত্যক্ষ করেছে।
হাওযা ইলমিয়া দৃঢ়ভাবে ফারস উপসাগরের নাম পরিবর্তনের যেকোনো প্রচেষ্টা ও প্রলাপের নিন্দা জানায় এবং ইসলামী ইরানের সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও জাতীয় সম্পদের রক্ষার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।
হাওযা ইলমিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ
আপনার কমেন্ট