হাওজা নিউজ এজেন্সি: লেবাননের পার্লামেন্ট স্পিকার একে ‘দেশদ্রোহিতার শামিল’ বলে আখ্যায়িত করেন এবং স্পষ্টভাবে বলেন, “এটি কোনোভাবেই ঘটবে না।”
ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে অনেকে মনে করছেন, ইসরায়েলি সামরিক তৎপরতা কেবল প্রতিরক্ষামূলক নয় বরং একটি বৃহত্তর কৌশলের অংশ—যার লক্ষ্য হলো লেবাননকে আলোচনার টেবিলে এনে অন্যান্য আরব দেশের মতো স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা। তবে স্পিকার বেরির কঠোর অবস্থান লেবাননের প্রতিরোধ মনোভাবের প্রতিফলন, যা এই অঞ্চলের সংঘাত ও কূটনৈতিক হিসাব-নিকাশে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
লেবাননের দৈনিক আল-জুমহুরিয়া'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেরি বলেন, ইসরায়েল আগ্রাসন বাড়িয়ে লেবাননে একটি ‘নতুন বাস্তবতা’ তৈরি করতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য হলো নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে লেবাননকে এমন আলোচনায় টেনে নেওয়া, যার পরিণতি হবে স্বাভাবিকীকরণ।
তিনি বলেন, ইসরায়েল মাটিতে সামরিক বাস্তবতা তৈরি করে রাজনৈতিক আলোচনার পথে লেবাননকে বাধ্য করতে চাইছে।
বেরি আরও জানান, লেবানন সরকার ও হিজবুল্লাহ জাতিসংঘ-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ইসরায়েলের বারবার লঙ্ঘন সত্ত্বেও এখনো সংযম প্রদর্শন করছে।
তিনি একটি যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত চুক্তির কথাও উল্লেখ করেন, যেখানে ইসরায়েলকে দখলকৃত লেবাননি ভূখণ্ড থেকে সরে যাওয়ার এবং সেখানে লেবানন সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল এসব বাস্তবায়ন করছে না এবং এখনো লেবাননি বন্দিদের মুক্তি দিচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন।
আপনার কমেন্ট