হাওজা নিউজ এজেন্সি: মহান ফকীহ শেখ আনসারী (রহ.) মায়ের ইন্তেকালের পর হৃদয়বিদারক কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি এই মহান নেয়ামতের হারানোতে শোকাহত হয়ে বলতেন, ‘আমার সমস্ত সাফল্যের মূলে ছিলেন আমার মা।’
মায়ের প্রতি অসামান্য সেবা
শেখ আনসারী (রহ.)-এর মাতৃভক্তি ছিল অনন্য। তিনি নিজে মাকে কাঁধে করে গোসলখানায় নিয়ে যেতেন এবং সেখানকার মহিলা পরিচারিকাকে তার দেখাশোনার দায়িত্ব দিতেন। গোসল শেষে তিনি আবার মাকে কাঁধে করে বাড়ি ফিরিয়ে আনতেন। যতক্ষন বাড়িতে থাকতেন, ততক্ষণ মায়ের সেবায় ব্যতিব্যস্ত থাকতেন।
প্রতিদিন রাতে তিনি মায়ের হাতে চুমু খেতেন এবং সকালে তার অনুমতি নিয়ে বাইরে যেতেন।
মায়ের ইন্তেকালে শোকার্ত ফকীহ
মায়ের ইন্তেকালের পর শেখ আনসারী (রহ.) অঝোর অশ্রু বিসর্জন করেছিলেন। তিনি মায়ের নিথর দেহের পাশে বসে শোকে মুহ্যমান হয়ে কাঁদছিলেন।
একজন ঘনিষ্ঠ শিষ্য তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন,
“হুজুর! আপনার মতো উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন আলিমের জন্য একজন বৃদ্ধা মায়ের মৃত্যুতে এভাবে কাঁদা ও ব্যাকুল হওয়া শোভনীয় নয়।”
শেখ আনসারী (রহ.) উত্তরে বললেন,
“তুমি কি জানো মায়ের মর্যাদা কত মহান? এই মায়ের সঠিক লালন-পালন ও অক্লান্ত পরিশ্রমই আমাকে আজ এই মর্যাদায় পৌঁছিয়েছে। তার মমতাময়ী স্নেহ ও ত্যাগই আমার সকল সাফল্যের ভিত্তি।”
শিক্ষা: শেখ আনসারী (রহ.)-এর জীবন থেকে আমরা শিখতে পারি যে, মায়ের সেবা ও সম্মান ঈমানি দায়িত্বের অংশ। তার ত্যাগ ও ভালোবাসার ঋণ কখনোই শোধ করা সম্ভব নয়।
সূত্র: “আদাবুত তালাবা” গ্রন্থ, ‘মাতৃসম্মান’ অধ্যায়
আপনার কমেন্ট