হাওজা নিউজ এজেন্সি: হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সাইয়্যেদ মোহসেন মাহমুদী গাদীরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “এটি ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ উৎসবগুলোর মধ্যে একটি। বিশেষ করে শিয়া মুসলমানদের কাছে এ দিনের মর্যাদা অপরিসীম। মানুষ নানা আয়োজনে এ পবিত্র দিনটি উদযাপন করে থাকে।”
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গাদীর উদযাপনের ব্যাপক প্রসার প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, “যদিও আমরা এখনও আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। এ পবিত্র উৎসবের আনন্দ ও বার্তা প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে আমাদের আরও প্রচেষ্টা চালাতে হবে। প্রতিটি মুসলমানের এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত।”
ইমামত ও নেতৃত্বের দশকের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “কুরবানির ঈদ থেকে শুরু হয়ে গাদীরের ঈদ পর্যন্ত এ দশকে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। মানুষ উৎসব আয়োজন, সদকা প্রদান ও আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সময়টিকে স্মরণ করে থাকে।”
তেহরানসহ সারাদেশে গাদীর উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মসজিদ, মহল্লা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানা রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আমরা আশা করি, এ ধরনের জনপ্রিয় আয়োজন দিন দিন আরও সম্প্রসারিত হবে। তরুণ প্রজন্ম ও পরিবারগুলো গভীর ধর্মীয় আবেগ নিয়ে এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছে।”
তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন এভাবে, “গাদীরের উৎসব আরও ব্যাপকভাবে পালন করতে হবে। সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচিত এ ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করা। বিশেষ করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যেন এ উৎসবের বার্তা পৌঁছায়, সে ব্যাপারে সচেষ্ট হতে হবে। ইনশাআল্লাহ আমাদের এ প্রচেষ্টা আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ.)-এর সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হবে।”
আপনার কমেন্ট