মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫ - ০৮:২৪
গাজায় ইসরায়েলি অপরাধ ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহবান আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর

তেহরান, ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী গাজা উপত্যকার করুণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইসলামি দেশগুলোর ঐক্যের ওপর আবারও জোর দিয়েছেন এবং যৌথ ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: সোমবার তেহরানে সফররত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী পাকিস্তানের ইসলামি বিশ্বে বিশেষ মর্যাদার কথা উল্লেখ করে বলেন, গাজায় সায়োনিস্ট শাসনের দ্বারা সংঘটিত অপরাধ থামাতে ইরান ও পাকিস্তানের যৌথ ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

তিনি বলেন, “বিশ্বের যুদ্ধবাজদের বহু উদ্দেশ্যই বিভাজন ও সংঘর্ষ সৃষ্টি করা, তবে ইসলামি উম্মাহর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় হলো ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করা।”

তিনি ফিলিস্তিন সংকটকে ইসলামি বিশ্বের প্রথম ও প্রধান ইস্যু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতি ইউরোপ ও আমেরিকার সাধারণ মানুষকেও তাদের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামিয়েছে, অথচ দুঃখজনকভাবে কিছু ইসলামি সরকার এখনো সায়োনিস্ট শাসনের পাশে অবস্থান করছে।

তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, “ইসলামি দেশগুলোর ঐক্যই ইসলামি উম্মাহর নিরাপত্তার একমাত্র নিশ্চয়তা।”

তিনি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার সাম্প্রতিক সংঘাতের অবসানে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এই দুই দেশের মধ্যকার বিবাদপূর্ণ বিষয়গুলোর শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সায়োনিস্ট শাসনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য নানা প্ররোচনা উপেক্ষা করায় তিনি পাকিস্তান সরকারকে সাধুবাদ জানান।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, ইরান ও পাকিস্তানের সম্পর্ক বরাবরই উষ্ণ ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ, এবং ইরানের বিরুদ্ধে সাদ্দাম শাসিত বিদেশি-সমর্থিত ইরাকের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে পাকিস্তানের অবস্থান সেই সম্পর্কের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

তিনি ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক প্রত্যাশার তুলনায় কম হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও জোরদার করার আহ্বান জানান।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha