বুধবার ২৮ মে ২০২৫ - ০৮:৪০
আমার মা ও ছয় ভাইবোনকে পুড়তে দেখেছি

ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় গাজার একটি স্কুলে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩৬ জনের, যাদের মধ্যে ১৮ জন শিশু ও ৬ জন নারী। রোববার মধ্যরাতে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত গাজার ফাহমি আল-জারজাওয়ি স্কুলে চালানো এই হামলায় বেঁচে যায় সাত বছর বয়সী শিশু ওয়ার্দ শেখ খলিল।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: হামলার সময় ওয়ার্দ তার মা ও ভাইবোনদের আগুনে পুড়ে যেতে দেখেছে বলে জানায়। আলজাজিরা ও সিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়ার্দের মা ও পাঁচ অথবা ছয় ভাইবোন (সংবাদভেদে ভিন্ন সংখ্যা) নিহত হয়েছেন, যাদের বয়স ২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। হামলার সময় তারা সবাই ঘুমন্ত ছিলেন।

ওয়ার্দের বাবা ও অপর এক ভাই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। শিশু ওয়ার্দ আগুনের মধ্য থেকে হেঁটে বেরিয়ে আসার পর উদ্ধারকারীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ওয়ার্দের চাচা ইয়াদ মুহাম্মদ আল শিক খলিল জানান, হামলার পর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে পোড়া দেহাবশেষের মধ্য থেকে স্বজনদের খোঁজেন। “প্রথমে আমরা লাশ খুঁজছিলাম, পরে শুধু দেহের অংশ খুঁজে বেড়িয়েছি,” বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় বহু স্কুল ও হাসপাতাল ধ্বংস হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ হামলাগুলোকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচনা করছে।

সূত্র: আলজাজিরা, সিবিসি নিউজ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha