হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইমাম (রহ.)-এর ৩৬তম ইন্তেকাল বার্ষিকী উপলক্ষে সাক্ষাৎকারে ড. মদলল-কার বলেন, বর্তমান সময়ে যখন নারীর রাজনৈতিক ও সামাজিক অংশগ্রহণের মাত্রা নির্ধারণের প্রয়োজন, তখন ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর চিন্তাধারা পুনঃপর্যালোচনা ইসলামী সমাজে নারীর প্রকৃত অবস্থান বুঝতে সহায়ক!
তিনি আরও বলেন, ইসলামী শরীয়াহ ও তরীকাহর অনুসরণ মানুষের সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য অপরিহার্য। তাই ইমাম (রহ.)-এর ইন্তেকাল বার্ষিকী ইসলামী বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতার চিন্তাধারা পুনর্বিবেচনার সুযোগ করে দেয়, বিশেষত ইসলামী সমাজে নারীর ভূমিকা বিষয়ে।
ইমাম (রহ.)-এর বাণীতে নারীর মর্যাদা
ড. মদলল-কার ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ইসলাম নারীকে গৃহবন্দী করার পক্ষে নয়। ইসলামের সূচনালগ্ন থেকেই নারী যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত ছিলেন। ইসলাম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরোধী নয়, বরং শিক্ষাঙ্গনের অনৈতিকতার বিরোধী। ইসলাম নারীকে সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসলামী শরীয়াহ নারীকে ধর্ম ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে না। বরং নারী সমাজের সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে এবং প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বও গ্রহণ করতে পারে।
ইসলামী বিপ্লব ইরানি নারীর মর্যাদা পুনরুদ্ধার করেছে
ড. মদলল-কার বলেন, পাহলাভী শাসনামলে নারীর ব্যক্তিত্ব পশ্চিমা উপনিবেশবাদ ও উদারনীতিবাদের হাতে লুণ্ঠিত হয়েছিল। ইসলামী বিপ্লব নারীর মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে এবং ইসলামী বিধানের মাধ্যমে তার অধিকার নিশ্চিত করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ইমাম খোমেনী (রহ.) নারীকে সমাজের উন্নয়ন ও প্রগতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে দেখতেন। তিনি বলতেন, 'নারীকে সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে, তবে পবিত্রতা ও শালীনতা রক্ষা করে।
শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে নারীর ভূমিকা
ড. মদলল-কার বলেন, ইমাম (রহ.) নারীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চায় বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। তিনি বলতেন, 'ইরানের নারীরা প্রমাণ করেছেন যে তারা এই আন্দোলনের অগ্রভাগে রয়েছে। তারা জাতির ভবিষ্যতের রক্ষাকবচ।
তিনি আরও যোগ করেন, ইমাম (রহ.) বিশ্বাস করতেন, নারী মানবিক মূল্যবোধ ও আধ্যাত্মিকতা বিকাশে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। তারা পরিবার ও সমাজ গঠনে মুখ্য ভূমিকা রাখে।
রাজনীতি ও অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ
ড. মদলল-কার বলেন, ইমাম (রহ.)-এর মতে, ইসলামী সমাজে নারী পুরুষের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেবে। তিনি বলতেন, 'নারীকে তার ভাগ্য নির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।'
তিনি উপসংহার টেনে বলেন, ইমাম (রহ.) নারীকে সমাজের অগ্রযাত্রার মূল চালিকাশক্তি হিসেবে দেখতেন। তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া সমাজের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়।
আপনার কমেন্ট