হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। জায়নিস্ট সামরিক মিডিয়া প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে যে, ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর গাজায় আক্রমণ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৮৬৬ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। এটি ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য এক বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

মার্চের পর নতুন ধাপে আরও ক্ষয়ক্ষতি

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ১৮ মার্চ ২০২৫ থেকে গাজায় পুনরায় হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৮ জন সেনা ও দখলদার বসতি স্থাপনকারী নিহত হয়েছে। শুধু গত সপ্তাহেই প্রাণ হারিয়েছে ৮ জন ইসরায়েলি সেনা, যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্ষতির ইঙ্গিত দেয়।

বনি সেহিলায় বিস্ফোরণ: সেনাবাহিনীর স্বীকারোক্তি

জায়নিস্ট সেনাবাহিনীর একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় বলা হয়েছে, পূর্ব খান ইউনুসের বনি সেহিলা এলাকায় একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৪ জন সেনা নিহত এবং ৫ জন আহত হয়েছে। সামরিক সূত্রের মতে, এ বিস্ফোরণটি ছিল শক্তিশালী এবং ভবনের ভেতরে তল্লাশি চলাকালে ঘটে।

বিশ্লেষকদের মতামত

মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর এই ক্ষয়ক্ষতি গাজায় প্রতিরোধযুদ্ধের শক্ত অবস্থানকে তুলে ধরছে। হামাস ও অন্যান্য প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো সুসংগঠিত এবং আধুনিক কৌশলে জায়নিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বহু মানবাধিকার সংস্থা গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক কার্যক্রমে বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি সামরিক ক্ষয়ক্ষতির দিকটিও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

উপসংহার

গাজা যুদ্ধের সাম্প্রতিক এই পরিস্থিতি ইসরায়েলি অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। একদিকে, সেনা হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধও আরও জোরালো রূপ নিচ্ছে। পরিস্থিতি এখন যে কোন সময় আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।