হাওজা নিউজ এজেন্সি: আয়াতুল্লাহ জাওয়াদি আমুলি ইমাম আলী (আ.)-এর একটি হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, “কোনো মুমিন ধৈর্যের (হিলম) মতো এমন কোনো আমল দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করেনি, নীরবতার (সামত) মতো এমন কিছু দ্বারা শয়তানকে ক্রুদ্ধ করেনি, আর মূর্খকে চুপ থাকার (সুকুত) মতো শাস্তি দেয়নি।”
ঘটনার বিবরণ: জাবির (রা.) বর্ণনা করেন— একদিন আমিরুল মুমিনিন আলী (আ.) শুনলেন, এক ব্যক্তি তাঁর খাদিম কানবারকে গালি দিচ্ছে।
কানবার জবাব দিতে উদ্যত হলে, ইমাম আলী (আ.) তাকে ডেকে বললেন, “থামো, হে কানবার! তাকে অবজ্ঞায় উপেক্ষা করো।
এভাবে তুমি প্রিয় রবের সন্তুষ্টি অর্জন করবে, শয়তানকে ক্রুদ্ধ করবে, আর শত্রুকে তার প্রাপ্য শাস্তি দেবে।
সেই সত্তার শপথ! যিনি বীজকে বিদীর্ণ করেন ও মানবকে সৃষ্টি করেছেন— কোনো মুমিন ধৈর্যের চেয়ে উত্তম কোনো আমলে আল্লাহর সন্তুষ্টি পায়নি, নীরবতার চেয়ে শ্রেষ্ঠ কোনো কাজে শয়তানকে রাগান্বিত করেনি, আর মূর্খকে চুপ থাকার চেয়ে কঠোর শাস্তি দেয়নি।”
[উৎস: আল-আমালি, শেখ মুফিদ, পৃষ্ঠা ১১৮; মাফাতিহুল হায়াত, পৃষ্ঠা ৩২৮]
শিক্ষা: এই হাদিসে তিনটি মহান নীতির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে:
১. ধৈর্য (হিলম): অপমান সহ্য করে আল্লাহর নৈকট্য লাভ।
২. নীরবতা (সামত): অহেতুক তর্কে জড়ানো শয়তানের ফাঁদ; এড়িয়ে গেলে তা তার পরাজয়।
৩. চুপ থাকা (সুকুত): মূর্খতার জবাব না দিয়ে তাকে সবচেয়ে বড় শাস্তি দেওয়া।
ইমাম আলী (আ.)-এর এই নির্দেশ মুসলিম জীবনে ক্ষমা ও সংযমের মহান দর্শন তুলে ধরে।
আপনার কমেন্ট