হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী,
বিসমিল্লাহ ক্বাসেমুল জাব্বারীন
(আল্লাহ, যিনি জালিমদের চূর্ণবিচূর্ণ করেন)
ইরানের মহান ও বীর জাতি এবং গৌরবময় ইসলামী প্রজাতন্ত্র তাদের বীর শহীদদের প্রতি দেয়া অঙ্গীকারে অটল রয়েছে। তারা সশস্ত্র বাহিনী ও প্রতিশোধপরায়ণ যোদ্ধাদের পাশে রয়েছে এবং ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়কের নেতৃত্ব অনুসরণ করে দেশের স্বাধীনতা, মর্যাদা, বিপ্লবের আদর্শ এবং শহীদদের রক্তের হেফাজতে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছে।
আমাদের সচেতন জাতি সবসময় বিপদের মুহূর্তে, সংকটপূর্ণ সময়ে বুদ্ধিমত্তা, শক্তি ও সাহসিকতার সঙ্গে মাঠে উপস্থিত থেকেছে এবং নিজেদের দেশ ও মহান আদর্শের রক্ষা করেছে। এখনো সেই সময় এসেছে সচেতনতা, ত্যাগ এবং উপস্থিতির, যা শত্রুদের অগ্নিকাণ্ডকে নিভিয়ে দেবে। আর প্রতিশোধ গ্রহণকারী মহান আল্লাহর সাহায্যে ইরানের জবাব এমন কঠোর হবে যে, শত্রুরা অনুতপ্ত হবে।
আমি ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রিয় শহীদ দেশবাসী, বিশেষ করে সাহসী কমান্ডার ও সেনাপতি, সশস্ত্র বাহিনীর স্টাফ ও সম্মানিত বিজ্ঞানীদের শাহাদতের জন্য অভিনন্দন ও সমবেদনা জানাচ্ছি। তাদের পবিত্র আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করছি এবং তাদের সঙ্গে জিহাদ ও প্রতিরোধের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি।
সচেতন আলেমসমাজ ও হাওযাগুলো অতীতের মতো এবারও সাহসী যুবসমাজ, সম্মানিত জাতি এবং প্রতিরোধের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে আল্লাহর প্রতি, ইমাম মাহদী (আ.জ.)-এর প্রতি, মহৎ শহীদ ও শহীদ বিজ্ঞানী ও কমান্ডারদের প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে। তারা দৃঢ়তার, প্রতিরোধের এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ শত্রু ও জায়নিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের আহ্বান জানাচ্ছে এবং জাতিকে শুক্রবারের নামাজে "প্রতিশোধের ঘোষণা" ও ঘোষিত জমায়েতগুলো, বিশেষ করে গাদীরখুম কেন্দ্রিক জমায়েতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।
যাঁকে আল্লাহ সাহায্য করেন, তিনিই বিজয়ী হন, এবং তিনি পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
– আলিরেজা আরাফি
পরিচালক, হাওযায়ে ইলমিয়া (ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান)
২৩ খোরদাদ ১৪০৪ (১৩ জুন ২০২৫)
আপনার কমেন্ট