হাওজা নিউজ এজেন্সি: আল- কাআবি বলেন, “ইহুদিবাদী ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ইরানের বিরুদ্ধে চালানো কাপুরুষোচিত হামলা এবং আমেরিকার সহায়তায় ইরাকের আকাশসীমা লঙ্ঘনের মতো ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই সমস্ত অপকর্মের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। সময় এসেছে, যখন ইরাকের ভূমি ও আকাশ থেকে আমেরিকান দখলদারিত্ব সম্পূর্ণরূপে শেষ করতে হবে।”

নুজাবা মহাসচিব তাঁর বিবৃতিতে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “ইরান রক্ত, অস্ত্র এবং ঐতিহাসিক সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ও লেবাননের পাশে দাঁড়িয়ে ইহুদিবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে—যেখানে বিশ্ব হয় দর্শক হয়ে ছিল, অথবা সরাসরি এই দখলদার শাসকগোষ্ঠীকে সহায়তা করেছে।”

তিনি আরও স্মরণ করিয়ে দেন যে, “ইরান শুধু ফিলিস্তিন নয়, ইরাকের জনগণের পাশেও দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে—সেই সময়, যখন আমেরিকা ও ইসরায়েলের পরিকল্পিত সন্ত্রাসী সংগঠন দায়েশ (আইএসআইএস) ইসলামের ধ্বংসের জন্য সৃষ্টি হয়েছিল। আরব ও পশ্চিমা দেশগুলো দায়েশকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছে এবং মিডিয়াকে তাদের প্রচারণার হাতিয়ার বানিয়েছে।”

আল-কাআবি বলেন, “আজ ইরান হল মোহাম্মদী ইসলামের শক্তি ও মর্যাদার প্রতীক—একটি আলোকিত ও ন্যায়ের পতাকাবাহী রাষ্ট্র, যেটি অত্যাচার ও ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে নির্ভীকভাবে দাঁড়িয়ে আছে।”

শহীদদের স্মরণ ও শোকবার্তা
বিবৃতির শেষাংশে তিনি শহীদদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, “আমরা ইরানি শহীদদের পরিবারের, মহান ইরানি জাতির এবং তাদের সম্মানিত নেতা আয়াতুল্লাহ আল উজমা সাইয়্যেদ আলি খামেনেয়ী (দাম যিল্লুহ)-এর প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”

তিনি আল্লাহর দরবারে দোয়া করে বলেন, “হে পরওয়ারদিগার! এরা তোমার ডানার বাহক, তোমার দলের সৈনিক, তোমার দ্বীনের রক্ষাকারী ও ত্যাগশীল শহীদ। তাদেরকে তুমি সাহায্য কর, হেফাজত কর। সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহরই।”