হাওজা নিউজ এজেন্সি: আয়াতুল্লাহ কাবি বলেন, গাদীরের মতবাদ হলো—আধ্যাত্মিকতা, ন্যায়বিচার, মুক্তি, একত্ববাদ, মর্যাদা ও সম্মানের প্রতীক। এই মতবাদ ধৈর্য, প্রজ্ঞা, ঐক্য, মাঠে সক্রিয় উপস্থিতি, আল্লাহর ইবাদত, মজলুমের পক্ষে দাঁড়ানো এবং দারিদ্র্য, দুর্নীতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামের উপর প্রতিষ্ঠিত।
তিনি আরও বলেন, “ইসলামী বিপ্লবের মূল দুই স্তম্ভ হলো—ওলায়াতে ফকীহ (ধার্মিক নেতৃত্বের অভিভাবকত্ব) ও জাতীয় স্বাধীনতা। এর বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিরোধ, সম্মান ও জালিমদের সামনে মাথা নত না করা।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ইরানি জাতি সবসময়ই সত্য ও ন্যায়ের পথে দৃঢ়ভাবে অটল থেকেছে। গাদীরপন্থী এই জাতি সম্মানকে ফরজ ও অপমানকে হারাম মনে করে। আমরা যুদ্ধ চাই না, তবে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবতার যুক্তির ভিত্তিতে আমাদের প্রতিরক্ষা অব্যাহত থাকবে।”
আয়াতুল্লাহ কাবি ইসরায়েলি আগ্রাসনের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “এই সন্ত্রাসী রাষ্ট্র অতীতে যেমন ব্যর্থ হয়েছে, এবারও ব্যর্থ হবে। তারা এই হামলা থেকে কোনো লাভ তুলতে পারবে না এবং শেষ পর্যন্ত লাঞ্ছিত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমেরিকা এই অপরাধমূলক হামলায় ইসরায়েলের সহযোগী। আমাদের প্রতিক্রিয়া হবে প্রতিরোধের কাঠামোর মধ্যে, উপযুক্ত সময় ও স্থানে।”
তিনি ইঙ্গিত করেন, “আজকের আগ্রাসন আসলে প্রতিরোধ অক্ষ, বিশেষ করে ‘তোফানে আকসা’-র পর তাদের পরাজয়ের প্রতিক্রিয়া। ইসরায়েল ভূখণ্ড, সমুদ্র ও আকাশে কোনো রকম প্রতিরোধের সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।”
আয়াতুল্লাহ কাবি বলেন, “সায়নবাদ হলো মানবতার প্রাচীন শত্রু ও সংগঠিত দুর্নীতি ও ধ্বংসের প্রতীক। যদি এই ক্যান্সার গ্রন্থি নির্মূল না করা হয়, তা বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলবে। এর একমাত্র সমাধান হলো—এই দানবীয় ব্যবস্থার সম্পূর্ণ ধ্বংস।”
তিনি বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন রণাঙ্গনের রূপ নিয়েছে। শত্রু এই মাধ্যমকে ব্যবহার করছে ভয়, বিভ্রান্তি ও মানসিক যুদ্ধ ছড়াতে। এদের লক্ষ্য হলো মানুষের মানসিক নিরাপত্তাকে ধ্বংস করা।”
শেষে আয়াতুল্লাহ কাবি হুঁশিয়ার করে বলেন, “আজ হক ও বাতিলের সীমারেখা স্পষ্ট। নিরপেক্ষতা বা নীরব থাকার কোনো মানে নেই। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ কিংবা কূটনৈতিক সমন্বয় ইসলামী উম্মাহর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। গাদীরের মতবাদ, হিজবুল্লাহর মতবাদ। আর হিজবুল্লাহই বিজয়ী। শত্রুর মানসিক যুদ্ধে জয়ী হতে হলে আমাদের ঐক্য, ধৈর্য ও সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।”
আপনার কমেন্ট