বুধবার ২ জুলাই ২০২৫ - ১২:১৩
কিয়ামতের দিন ইমাম হুসাইন (আ.)-এর সঙ্গ লাভের সহজ ও মহৎ উপায়

ইমাম হুসাইন (আ.) শুধু কারবালার এক মহান শহীদ নন, বরং তিনি হলেন মানবতার মুক্তির প্রতীক, যাঁর স্মরণ মুমিনের আত্মা শুদ্ধ করে এবং হৃদয় আলোকিত করে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি সাধারণ কাজের মাধ্যমেও তাঁর সান্নিধ্য অর্জন করা সম্ভব—এমনই এক আশাজাগানিয়া বার্তা দিয়েছেন ইমাম জাফর সাদিক (আ.)।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেন,
ما مِن مُؤمِنٍ یَشرَبُ الماءَ وَ یَذکُرُ الحُسَینَ (علیه‌السلام) وَ یَلعَنُ قاتِلَهُ، إلّا کَتَبَ اللّٰهُ لَهُ مِائةَ ألفِ حَسَنَةٍ، وَ حَطَّ عَنهُ مِائةَ ألفِ سَیِّئَةٍ، وَ رَفَعَ لَهُ مِائةَ ألفِ دَرَجَةٍ، وَ کَأنَّما أعتَقَ مِائةَ ألفِ نَسَمَةٍ، وَ حَشَرَهُ اللّٰهُ مَعَ الحُسَینِ (علیه‌السلام
কোনো মুমিন ব্যক্তি পানি পান করার সময় যদি ইমাম হুসাইন (আ.)-কে স্মরণ করে এবং তাঁর হত্যাকারীদের প্রতি লানত পাঠায়, তবে আল্লাহ তার জন্য এক লক্ষ নেকি লিখে দেন, এক লক্ষ গুনাহ মাফ করে দেন, তার মর্যাদা এক লক্ষ ধাপ বৃদ্ধি করেন, যেন সে এক লক্ষ দাসকে মুক্ত করেছে। আর কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে হুসাইন (আ.)-এর সঙ্গে পুনরুত্থিত করবেন।

[বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৪৪, পৃষ্ঠা ১৯৩]

এই হাদীস আমাদের শিখিয়ে দেয়, আল্লাহর পথে সত্য ও ন্যায়ের জন্য জীবন উৎসর্গকারী ইমাম হুসাইন (আ.)-এর স্মরণ শুধু ইবাদত নয়—বরং তা মুমিনের আত্মিক উন্নয়নের এক মাধ্যম। পানি পান করার মতো দৈনন্দিন একটি ক্ষণিক মুহূর্তও যদি হৃদয়নিবিষ্ট স্মরণে রূপ পায়, তাহলে তা আমাদের জন্য কিয়ামতের দিনে অফুরন্ত পুরস্কার ও ইমাম হুসাইন (আ.)-এর সান্নিধ্য লাভের সেতুবন্ধন হতে পারে। সত্য ও শোকের এই অনন্য মিলনই একজন মুমিনের জীবনের সৌন্দর্য।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha