হাওজা নিউজ এজেন্সি: আশুরার সপ্তম রাত উপলক্ষে বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় দাহিয়ায় অবস্থিত 'সাইয়্যেদুশ্ শুহাদা (আ.) কমপ্লেক্স'-এ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যুদ্ধাহত ও শহীদদের পরিবারগুলো আমাদের অন্তরে সংগ্রামের চেতনা জাগিয়ে তুলেছে। তাঁরা হযরত আবুল ফজল আব্বাস (আ.)-এর মতো সাহসিকতার আদর্শ হয়ে উঠেছেন, এবং আমরা তাঁদের ওপর গর্ব করি।
তিনি আরও বলেন, আমার জন্য এটি গর্বের বিষয় যে, আমি আপনাদের পাশে থেকে হিজবুল্লাহ ও প্রতিরোধের পতাকা বিজয় পর্যন্ত উঁচিয়ে ধরতে পারছি—ইনশাআল্লাহ।
যুদ্ধাহতদের উদ্দেশে শেখ কাসেম বলেন, আপনারা আমাদের গর্ব, আমরা আপনাদের পাশে থাকব এবং ইসলামের, নেতৃত্বের, ন্যায়ের ও প্রতিরোধের পথে আপনাদের অভিজ্ঞতা ও সামর্থ্য কাজে লাগাব।
তিনি বলেন, আমাদের এমনভাবে চলতে হবে যেন ইমাম মাহদি (আ.ফা.)-এর উপস্থিতি আমাদের মাঝেই রয়েছে। কারণ, শত্রুর বিরুদ্ধে সংগ্রাম, সন্তানদের সঠিকভাবে গড়ে তোলা, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা, ধৈর্য ও সহনশীলতা প্রদর্শন এবং একটি আদর্শিক অভিজ্ঞতা গড়ে তোলাই আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব।
হিজবুল্লাহর মহাসচিব আরও বলেন, ইমাম মাহদির (আ.ফা.) প্রত্যাশাকারীরা সর্বদা চলমান, সংগ্রামী ও সংস্কারক। আমরা নিজেদের সেই কাফেলার অংশ মনে করি, যারা তাঁর নেতৃত্বে অগ্রসর হচ্ছে। হিজবুল্লাহ হচ্ছে লেবাননে ইমাম মাহদির (আ.ফা.) দল।
তিনি বলেন, স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই বিজয় একদিন মহাসাফল্যে রূপ নেবে, যদিও তার পূর্বে নানা স্তরে বিভিন্ন বিজয় অর্জিত হবে।
শেখ নাঈম কাসেম ইসরায়েলকে শুধুমাত্র দখলদার নয়, বরং গোটা অঞ্চল ও বিশ্বের জন্য একটি কৌশলগত হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল মুসলিমদের পাশাপাশি খ্রিস্টান ও ইহুদিদের জন্যও একটি বাস্তব ও বড় হুমকি।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধবিরতির পরেও ইসরায়েল একটি স্থায়ী আগ্রাসী শক্তি হয়ে আছে, যা ইতোমধ্যে ৩৭০০-র বেশি বার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এই অবৈধ সত্তার বিরুদ্ধে আমাদের 'না' বলা উচিত।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, আমরা এমন একটি জাতি, যাদের হুমকি দিয়ে দমিয়ে রাখা যায় না। আমরা আমাদের অস্ত্র হস্তান্তর করব না, কোনো চাপ আমাদের নীতিকে বদলাতে পারবে না—কারণ আমরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে আছি।
শেষে তিনি বলেন, আমরা হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)-এর পথের অনুসারী। আমরা এই পথকে বিশ্বাস করি, বহু ত্যাগ স্বীকার করেছি এবং কখনোই ইসরায়েলের সামনে আত্মসমর্পণ করব না। যে হুসাইনের সঙ্গে থাকে, সে কখনোই ইসরায়েলের কাছে নতি স্বীকার করে না।
আপনার কমেন্ট