হাওজা নিউজ এজেন্সি: স্মরণসভাটি ইরানের ধর্মীয় নগরী কোম শহরের রাফাআত মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। তিনি শহীদতাকে ইসলামী সংস্কৃতির এক উচ্চ মর্যাদার বিষয় হিসেবে ব্যাখ্যা করে বলেন, “ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে শহীদ হওয়া কোনো ক্ষয় নয়; বরং এটি কল্যাণ, বরকত ও মুমিন সমাজকে শক্তিশালী করার মাধ্যম।”
আনুগত্য ও সাহায্যের অঙ্গীকার—একটি দ্বীনী সমাজের ভিত্তি
তিনি বলেন, একটি দ্বীনভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য দুটি মূল স্তম্ভ অপরিহার্য:
১. আনুগত্যের অঙ্গীকার (ميثاق الطاعة)
২. সহায়তার প্রতিশ্রুতি (پیمان النصرة)
এই দুটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত সমাজ কখনও পরাজিত হয় না; বরং তা উন্নতির পথে অটল থাকে। শহীদতাই হলো এই মূল্যবোধগুলোর সর্বোচ্চ প্রকাশ।
বেলায়াতে ফকিহ: আল্লাহর বেলায়েতের ধারাবাহিকতা
হাওযা ইলমিয়ার শিক্ষক ও মজলিসে খোবরেগানের সদস্য বলেন, “আজকের দিনে বেলায়াতে ফকিহ হচ্ছে আল্লাহ, রাসূল (সা.) এবং ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর বেলায়েতের ধারাবাহিক রূপ। এর বাইরে যাওয়ার অর্থ হলো, বেলায়াতে ইলাহি থেকে বিচ্যুতি।”
ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর হুকুমত প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র তৈরিতে ইরানের ভূমিকা
তিনি আরও বলেন, কুরআনের বহু আয়াত সরাসরি বা ইঙ্গিতে ইরানিদের ভূমিকাকে তুলে ধরেছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে ইরান এক বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থানে ইমাম মাহদী (আ.ফা)-এর বৈশ্বিক ন্যায়ভিত্তিক শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, “ইরানি জাতি আল্লাহর এই ঐশী নির্বাচনে গর্ব অনুভব করা উচিত। আল্লাহ তাঁদেরকে মানবজাতিকে জুলুম ও সাম্রাজ্যবাদ থেকে মুক্ত করার জন্য মনোনীত করেছেন। এই গৌরবময় দায়িত্ব পালনের জন্য শহীদদের আত্মত্যাগ প্রয়োজনীয় এবং সম্মানজনক।”
শাহাদত: শোক নয়, বরং এক আল্লাহ প্রদত্ত সুসংবাদ
তিনি বলেন, কুরআনের দৃষ্টিতে শহীদ হওয়া কোনো শোকাবহ বিষয় নয়, বরং এটি মুমিন জাতির জন্য এক আনন্দবহ বার্তা।
তিনি বলেন, “যে জাতি (আল্লাহর পথে) শহীদ উপহার দেয়, সে দুর্বল হয় না; বরং নতুন শক্তি ও প্রেরণায় পথ চলতে থাকে।”
শহীদগণ, ইমাম মাহদী (আ.ফা.)-এর প্রকৃত সৈনিক
বক্তব্যের শেষে আয়াতুল্লাহ আরাকি বলেন, “বেলায়েতের পথে শহীদগণ—যেমন শহীদ হাজী হাসান মোহাক্কেকি—ইমাম মাহদী (আ.)-এর প্রকৃত সৈনিক। বেলায়াতে ফকিহের পথে শহীদ হওয়া মানে ইমাম মাহদী (আ.)-এর সঙ্গেই শাহাদত অর্জন করা।”
আপনার কমেন্ট